কলাবতী শাড়ি’র উদ্ভাবক রাধাবতী দেবীকে সংবর্ধনা

বাংলাদেশ মণিপুরি সাহিত্য সংসদ (বামসাস)-এর আয়োজনে মণিপুরি শাড়ির প্রবর্তক ও কলাবতী শাড়ি’র উদ্ভাবক রাধাবতী দেবীকে কমলগঞ্জে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের ভানুবিল মাঝেরগাঁও গ্রামে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মণিপুরি সাহিত্য সংসদ এর সাধারণ সম্পাদক নামব্রম শংকর।

বাংলাদেশ মণিপুরি সাহিত্য সংসদের সভাপতি কবি ও লেখক একে শেরামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি খোইরোম ইন্দ্রজিৎ, মণিপুরি কালচারাল কমপ্লেক্সের সভাপতি এল জয়ন্ত সিংহ, বামসাস কমলগঞ্জ শাখার সভাপতি মাইবম বীরেন্দ্র, মণিপুরি ভাষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এল ইবুংহাল সিংহ শ্যামল।

এসময় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিতি থেকে বক্তব্য দেন কন্থৌজম শিল্পী, অয়েকপম অঞ্জু, ওয়াই রনজিৎ, বৃন্দারানী সিনহা, টি এইচ কৈন্যাহান, হামোম প্রবিত, লৈচোম্বম রাজকুমার, শৈলবাবু সিংহ, হামোম অজিতন ও সাংবাদিক সালাহউদ্দিন শুভ।

বাংলাদেশ মণিপুরি সাহিত্য সংসদ এর যুগ্ম সম্পাদক সমরেন্দ্র জানান, আমাদের মণিপুরি সাহিত্য সংসদ থেকে প্রতি বছর গুণী ব্যক্তিদের সংবর্ধনা দিয়ে থাকি। এ ধরনের কাজ আমাদের অব্যাহত আছে।

সংবর্ধিত কলাবতী শাড়ি’র উদ্ভাবক রাধাবতী দেবী বলেন, বাংলাদেশে এই প্রথম কলাগাছের সুতা দিয়ে শাড়ি তৈরি করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুশি হয়ে আমাকে এক লাখ টাকা উপহার দিয়েছেন। আমার সঙ্গে থাকা অন্য শিল্পীদেরও সম্মাননা দিয়েছেন। তিনি সব সময় এ বিষয়ে সহযোগিতাও করবেন বলে জানিয়েছেন।

তিনি আরোও বলেন, আজ আমার নিজ এলাকায় বাংলাদেশ মণিপুরি সাহিত্য সংসদ এর নেতৃবৃন্দ আমাকে সংবর্ধনা দিয়েছেন তাদের প্রতি আমি চির কৃতঞ্জ থাকবো।

উল্লেখ্য, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ৭ কিলোমিটার দুরে মণিপুরি জনগোষ্ঠীর গ্রাম ভানুবিল মাঝেরগাঁও। পারিবারিক ঐতিহ্য হিসেবে ১৯৭৫ সাল থেকে তিনি মণিপুরি তাঁতবস্ত্র তৈরি করছেন। মাফলার, ওড়না, শাড়ি, গামছা, থ্রীপিছ তিনি তৈরি করতেন। বাড়িতে বিক্রির জন্য না হলে কোন তাঁতবস্ত্র দোকানের চাহিদা আসলেই তিনি সে হিসেবে মণিপুরি তাঁতবস্ত্র তৈরি করে দিতেন। গত এপ্রিল মাসে বান্দরবন গিয়ে কলার তন্তু থেকে শাড়ি বুনন করে ও অতি সম্প্রতি আবার কলার তন্তু থেকে শাড়ি বুনন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে শাড়ি উপহার দেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে রাধাবতী দেবীকে ফুল, উত্তরীয় ও ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।