বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) উদ্যোগে এবং দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সহযোগিতায় কর্মক্ষেত্রে জেন্ডার ফ্রেন্ডলি পরিবেশ সৃষ্টি বিষয়ক এক সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল ১১টায় চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের হেড অফ ট্রেনিং জোহা জামিলুর রহমানের পরিচালনায় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুজিবুর রহমান মিন্টু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুজিবুর বলেন, ‘বিশ্বের উন্নত দেশসমূহের তুলনায় আমাদের দেশে কর্মক্ষেত্রে নারী সমাজ অনেকটাই পিছিয়ে আছে। এর মূল কারণ সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মক্ষেত্রে নারীদের জন্য উপযুক্ত কর্মপরিবেশ না থাকা। আমরা দেখি পাশ্চাত্য দেশগুলোতে নারীরা পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ সমাজের সর্বক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছেন। এজন্যই পাশ্চাত্যের সমাজব্যবস্থা আমাদের থেকে অনেক উন্নত।
তিনি বলেন, যে কোন দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশের পোষাক শিল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পোষাক শিল্প বাংলাদেশের বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। এই শিল্পের ৮৫ ভাগ শ্রমশক্তিই হল আমাদের নারী সমাজ। এছাড়া আমাদের কুটির শিল্পগুলো বেশিরভাগই নারী কেন্দ্রিক। তাই কর্মক্ষেত্রে জেন্ডার ফ্রেন্ডলি পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হলে দেশের অর্থনীতি অনেক গুণ এগিয়ে যাবে।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের হেড অফ ট্রেনিং ও কর্মশালার মডারেটর জোহা জামিলুর রহমান বলেন, কর্মক্ষেত্রে জেন্ডার ফ্রেন্ডলি পরিবেশ সৃষ্টি বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা কর্মশালাটি আয়োজন করেছি। আইএলও এর প্রগ্রেস প্রজেক্ট আর আওতায় এ বিষয়টি নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে জেন্ডার ফ্রেন্ডলি পরিবেশ বজায় রাখা এবং নারীদেরকে স্বতস্ফ‚র্তভাবে কাজের সুযোগ করে দেওয়া এমপ্লয়ার্স প্রতিষ্ঠানের নৈতিক দায়িত্ব। কারণ দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী সমাজকে পেছনে রেখে কখনই দেশের সত্যিকারের উন্নয়ন সম্ভব নয়।’
এসময় সচেতনতামূলক এই কর্মশালাটি আয়োজনে সহযোগিতার জন্য সিলেট চেম্বারকে ধন্যবাদ জানিয়ে কর্মশালার মূল পর্বে তিনি কর্মক্ষেত্রে জেন্ডার ফ্রেন্ডলি পরিবেশ সৃষ্টি বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।