সেপ্টেম্বর মাসে দাম বৃদ্ধির পর এবার কমলো এলপিজির দাম। ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ডলার ও জ্বালানির দামের সংকটের মধ্যে সুখবর হিসেবে এসেছে এলপিজির দাম কমার খবর। সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় অক্টোবর মাসে প্রতি কেজিতে এলপিজির দাম কমলো ১ টাকা ৮৭ পয়সা। এই হিসাবে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম কমলো ৩৫ টাকা। একইভাবে দাম কমেছে অটোগ্যাসেরও।
রোববার (২ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দাম ঘোষণা করা হয়। নির্ধারিত নতুন দাম সন্ধ্যা ৬টা থেকেই কার্যকর হবে। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এই দাম ঘোষণা করেন বিইআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু ফারুক। এ সময় সচিব খলিলুর রহমান, সদস্য মোকবুল-ই ইলাহিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অক্টোবর মাসে প্রতি কেজি এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০১ টাকা ১ পয়সা, যা সেপ্টেম্বর মাসে ছিল ১০২ টাকা ৮৮ পয়সা, এর আগে আগস্ট মাসে ছিল ১০১ টাকা ৬২ পয়সা। এদিকে সেপ্টেম্বর মাসে ১২ কেজি অক্টোবর মাসে দাম পড়বে ১ হাজার ২০০ টাকা৷ যা সেপ্টেম্বর মাসে ছিল ১ হাজার ২৩৫ টাকা, আগস্ট মাসে ছিল ১ হাজার ২১৯ টাকা।
এদিকে অক্টোবর মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম লিটারপ্রতি ৫৫ টাকা ৯২ পয়সা নির্ধারণ করেছে কমিশন, যা সেপ্টেম্বর মাসে ছিল ৫৭ টাকা ৫৫ পয়সা। এই হিসাবে সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবরে দাম কমেছে ১ টাকা ৬৩ পয়সা।
এছাড়া বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবহারকারীদের এলপিজির দামও কিছুটা কমেছে। রেটিকুলেটেড এলপিজি গ্যাসীয় অবস্থায় প্রতি লিটারের দাম সেপ্টেম্বরে ছিল শূন্য দশমিক ২২ টাকা, অক্টোবরে তা কমে হয়েছে শূন্য দশমিক ২১ টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অক্টোবর মাসের জন্য সৌদি আরামকোর প্রোপেন ও বিউটেনের ঘোষিত সৌদি সিপি (কন্ট্রাক্ট প্রাইস) যথাক্রমে প্রতি মেট্রিক টন ৫৯০ মার্কিন ডলার এবং ৫৬০ মার্কিন ডলার। প্রোপেন ও বিউটেনের অনুপাত ৩৫:৬৫ অনুযায়ী প্রোপেন ও বিউটেনের গড় সৌদি সিপি প্রতি মেট্রিক টন ৫৭০.৫০ মার্কিন ডলার বিবেচনায় এই দাম নির্ধারণ করেছে কমিশন।
১২ কেজি সিলিন্ডার ছাড়াও সাড়ে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত সব সিলিন্ডারের দামই বাড়ানো হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। তবে সরকারি পর্যায়ে সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দামের পরিবর্তন হয়নি। তাই সেটি আগের দাম ৫৯১ টাকাই রয়েছে।
বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির দাম কমেছে। তাই এবার আমরা এলপিজির দাম কমাতে পেরেছি।
বাজারে এলপিজির দাম কমিশনের নির্ধারিত দাম বিক্রি হয় না বলে সম্মেলনে অভিযোগ করা হলে কমিশনের সদস্য মকবুল ই ইলাহী বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ না পেলে এই বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নিতে পারি না। কমিশনের আইনেও এটা করা যায় না। অন্য কোম্পানিগুলোর মতো স্বপ্রণোদিত হয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করতে পারি না। তিনি বলেন, দাম আরও কমানো যেতো যদি ডলার দামটা আর একটু কমতো।