ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির দ্বিতীয় দিনেও লম্বা লাইন দেখা গেছে কমলাপুর রেল স্টেশনে। ৬ জুলাইয়ের টিকিট কিনতে অনেকে শুক্রবার (১ জুলাই) দুপুর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও শনিবার (২ জুলাই) সকালে পাননি।
এদিন সকাল ৮টা থেকে একই সঙ্গে কাউন্টার ও অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদ উপলক্ষে এবার ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে।
টিকিট বিক্রির প্রথম দিন ছিল গতকাল শুক্রবার। সেদিন বৃহস্পতিবার রাত থেকে অপেক্ষা করেও অনেকে টিকিট পাননি।
এবারই প্রথম ঈদ উপলক্ষে পোশাক শ্রমিকদের জন্য গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম ঈদ স্পেশাল নামে এই ট্রেন পঞ্চগড় পর্যন্ত চলাচল করবে।
বাংলাদেশের আকাশে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হিজরি ১৪৪৩ সনের জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ১০ জুলাই রোববার দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
এবার ট্রেনের টিকিট অর্ধেক বিক্রি হচ্ছে কাউন্টারে, বাকি অর্ধেক অ্যাপে। শুক্রবার যাত্রীদের অনেকেই অভিযোগ করেন, তারা অ্যাপে প্রবেশ করতে পারেননি। অ্যাপ ডাউন।
এর জবাবে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘এর ব্যাখ্যা আমরা সহজ ডটকম (অনলাইনে টিকিট বিক্রিকারী প্রতিষ্ঠান) থেকে পেয়েছি। সেটা হচ্ছে যে অনলাইনে ১৩ হাজার টিকিট বিক্রির জন্য যখন সকাল আটটায় সার্ভার চালু হয়, তখন একসঙ্গে প্রায় সাড়ে চার লাখ টিকিটপ্রত্যাশীর হিট পড়েছে। টিকিট কিন্তু ১৩ হাজার ব্যক্তিই পাবেন, বাকিরা পাবেন না। যেহেতু অধিকসংখ্যক লোক টিকিট পাচ্ছেন না, ফলে অভিযোগটা অধিকসংখ্যক লোকের থেকে যাচ্ছে।’
নিজের ব্যাখ্যা দিয়ে মাসুদ সারওয়ার বলেন, ট্রেনের আসন ও টিকিটসংখ্যা যেহেতু নির্দিষ্ট, কাউন্টার থেকে সেই নির্দিষ্টসংখ্যক টিকিট বিক্রি হয়ে গেলে এখানে ১০ হাজার লোক থাকলেও তাদের টিকিট দেওয়া সম্ভব হবে না। তাদের অভিযোগ থেকেই যাবে।