কমলগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রার অফিসের দুর্নীতির সত্যতা পেয়েছে দুদক

নিজেদের হটলাইনে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে কমলগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রার অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত টানা তিন ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করে দুদক হবিগঞ্জের চার সদস্যের একটি টিম। এসময় অভিযানকালীন কোন তথ্য উপস্থিত সাংবাদিকদের না জানালেও রাতে দুদক তাদের ফেসবুক পেইজে আংশিক তথ্য তুলে ধরে।

এতে দুদক জানায়, অভিযান চলাকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা হয় এবং উক্ত অফিসের কতিপয় নকল নবিশদের কাছে অব্যাখ্যায়িত নগদ অর্থ পাওয়া যায়। এই বিষয়ে সাব-রেজিস্ট্রার-কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে মর্মে টিমকে নিশ্চিত করেছেন।

সরেজমিনে পরিদর্শন সম্পর্কে দুদক জানায়, সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের প্রত্যেকের কক্ষ সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত থাকলেও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট টিসি সিসি ক্যামেরার বাইরে ছিল। এসময় তারা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদির প্রাথমিক সত্যতা পায়। এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনাকারী টিম শীঘ্রই বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করবে।

এদিকে তিন ঘণ্টার অভিযান শেষে কমলগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রার রহমত উল্লাহ লতিফ অভিযান বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। কথা বলেননি দলিল লেখক সমিতির নেতৃবৃন্দরাও।

উল্লেখ্য, কমলগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রার অফিসে প্রকাশ্যে ঘুষ বাণিজ্য, ক্রেতা-বিক্রেতাদের হয়রানি, সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দলিল রেজিস্ট্রার করা, জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া, দলিল লেখকদের সাথে দুর্ব্যবহারসহ অসংখ্য অভিযোগ সাবরেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে। এমন বাস্তবতায় দুদকের এমন অভিযান ভুক্তভোগীদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে।