মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন দৈনিক খবরপত্র পত্রিকার কমলগঞ্জ প্রতিনিধি আব্দুল বাছিত খাঁন। দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (১৩ আগস্ট) বেলা দেড়টার দিকে কমলগঞ্জ-মৌলভীবাজার সড়কের উবাহাটা (মাদারিবন) এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সময় বাছিতের সাথে থাকা আরেক সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম হিমেল জানান, মির্তিঙ্গা চা-বাগানে চা শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির সংবাদ সংগ্রহ করে কমলগঞ্জ উপজেলায় যাচ্ছিলেন তারা। পথে মুন্সীবাজার-কমলগঞ্জ সড়কের উবাহাটা এলাকায় পৌঁছালে হেলমেট পড়া তিন মোটরসাইকেল আরোহী তাদের পথরোধ করে দা বের করলে মোটরসাইকেল ফেলে তারা দুইদিকে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় সাংবাদিক হিমেল দৌড়ে পালিয়ে গেলেও বাছিত কাদায় পড়ে যান। তখন দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে মুন্সীবাজারের দিকে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় সাংবাদিক বাছিতকে উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। খবর পেয়ে কমলগঞ্জে কর্মরত সংবাদকর্মীরা এবং কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান হাসপাতালে ছুটে যান। বাছিতের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। সেখান থেকে দ্রুত তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় জ্ঞান হারান সাংবাদিক বাছিত। বিকেল সাড়ে ৫টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হামলার কারণ সম্পর্কে কিছু জানা সম্ভব হয়নি।
ঘটনার পর কমলগঞ্জ থানা পুলিশের ৩টি দল হামলাকারীদের শনাক্ত ও আটকে মাঠে নেমেছে। ওসি ইয়ারদৌস হাসান ও ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পুলিশের অপর দুটি দল মাঠে কাজ করছে। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল) শহীদুল হক মুন্সী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় কমলগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান বলেন, পুলিশের একাধিক টিম মাঠে রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলাকারী দুর্বৃত্তদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হবে।