কমলগঞ্জে রাস্তায় খুঁটি পোঁতে প্রতিবন্ধকতা, বিপাকে ২০ পরিবার

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়ের ভাঁসানীগাঁও গ্রামে চলাচলের রাস্তায় খুঁটি পোঁতে প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগি ১৫/২০ পরিবারের সদস্যরা।

বুধবার (৩০ নভেম্বর)দুপুরে সরেজমিনে গেলে দেখা যায় ১৫/২০ পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তায় পাকা খুঁটি পোঁতে রাখা হয়েছে।

ভুক্তভোগী আলমাছ মিয়া, তাহির মিয়া ও ইউসুফ মিয়া জানান, শত বৎসর যাবৎ আমরা এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছি হঠাৎ গত চার দিন আগে আমাদের প্রতিবেশী রাস্তার বর্তমান রেকর্ডীয় মালিক মো. সিরাজ উদ্দিন রাস্তার মাঝামাঝি জায়গায় বাঁশের খুঁটি স্থাপন করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যকে জানালে চেয়ারম্যান-মেম্বারের কথা না শুনে সিরাজ উদ্দিন ওই রাস্তায় দু’দিন আগে পাকা খুঁটি স্থাপন করে রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে নিষেধ করে।

তারা আরও বলেন, ‘উনার বাবা ও দাদা থাকাকালীন এই রাস্তা দিয়ে আমরা যাতায়াত করে আসছি কিন্তু কোন দিন কেউ বাধা প্রদান করেননি।’

এদিকে রাস্তায় খুঁটির কারণে মাড়াই মেশিন বাড়িতে নিতে আসতে না পারায় নষ্ট হচ্ছে কাটা ধান। এমন বাস্তবতায় বিষয়টি সুরাহার জন্য কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবরে ভুক্তভোগীরা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মোতাহের আলী বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ দেখে আসছি এ রাস্তা দিয়ে ১৫/২০ পরিবার চলাচল করছে। হঠাৎ রাস্তাটি বন্ধ করায় পরিবারগুলো ভোগান্তিতে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের চেয়ারম্যান সাহেবসহ বসে সমাধানের চেষ্টা করলে সিরাজ মিয়া বসতে রাজি হননি এবং রাস্তায় পোঁতে রাখা খুঁটি অপসারণ করবেন না বলেও জানান।

এ বিষয়ে জানতে মো. সিরাজ উদ্দিনকে পাওয়া না গেলেও তার মেয়ে জেনি আক্তার জানান, ‘আমার বাবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে। তিনি আসলে বিস্তারিত জানাবেন।’

কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় চক্রবর্তী অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বিষয়টি তদন্তক্রমে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিফাত উদ্দিন জানান, ‘রাস্তাটি যেহেতু ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায়। আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহেবকে বলেছি আমরা উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করবো।’