মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় তিন বছর আগে শতভাগ বিদ্যুতায়ন ঘোষণা করা হলেও বিদ্যুৎ থেকে এখনও বঞ্চিত ১৭৫টি পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎবিহীন থাকা পরিবারগুলো কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিনের কাছে রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। সেখানে তারা বলেছেন, দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের অর্ন্তভুক্ত করা হলেও অদৃশ্য কারণে কয়েকটি এলাকায় থমকে রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের কাজ।
জানা যায়, উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের দেওরাছড়া চা-বাগানের ৬ নম্বর ও ৭ নম্বর লাইন এবং শালবাড়ি ও চন্ডিপুর এলাকায় ২০১৯ সালে বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন ও লাইন টানা হলেও ১৭৫টি পরিবার দীর্ঘ দিন থেকে বিদ্যুৎ বঞ্চিত রয়েছে।
বিদ্যুৎ বঞ্চিত ভুক্তভোগী মিঠুন উড়াং, রাজু উড়াং, সুমন রায় ও আপন উড়াংসহ অনেকে বলেন, কয়েক বছর আগে বিদ্যুতের জন্য আমাদের এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি ও লাইন টানা হলেও কোন অদৃশ্য কারণে আমাদের সংযোগ থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে জানি না। আমরা ডিজিটাল যুগে এসেও অন্ধকারে রয়েছি। আমাদের আশপাশের পাহাড়ি এলাকার সব জায়গা বিদ্যুতায়িত হলেও কেবল আমরাই অন্ধকারে পড়ে আছি।
তারা আরও বলেন, বিদ্যুতের অভাবে আমাদের অনেক সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছেলে-মেয়েরা ঠিকভাবে লেখাপড়া চালাতে পারছে না।
স্থানীয় শিক্ষার্থী রাজু বলেন, আমরা রাতে পড়াশোনা করতে পারছি না। এ যুগে এসে কুপি জ্বালিয়ে লেখাপড়া চালাতে হচ্ছে ভাবতেই কষ্ট লাগে। শুনেছি কমলগঞ্জকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটা কিভাবে সম্ভব?
এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম গোলাম ফারুক মীর বলেন, বাড়িগুলোতে ওয়্যারিং এর কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় সংযোগ দেয়া যাচ্ছে না। ওয়্যারিং এর কাজ সম্পন্ন করে বাগান কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র সাবমিট করলেই আমরা দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করে দিতে পারবো।