কমলগঞ্জে প্রাইভেটকারে কিশোরীকে ধর্ষণ, যুবক আটক

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) অপহরণ করে একদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে পাভেল মিয়া (২৭) নামের এক যুবককে প্রাইভেটকারসহ আটক করা হয়েছে। আটক পাভেল উপজেলার আলীনগর বস্তী এলাকার মাহমুদ আলীর ছেলে।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় কমলগঞ্জ পৌর এলাকার কুমড়াকাপন এলাকা থেকে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে দুইজনকে আসামি করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে ওই স্কুলছাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে স্কুলছাত্রী আলীনগরে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। ধলাই নদীর নতুন ব্রিজের উপরে পৌঁছামাত্র চালক পাভেল মিয়া ও তোয়াহিদ মিয়া (২০) একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারে করে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে উপজেলার আলীনগরসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায় এবং তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বিকেল ৪টায় তোয়াহিদ মিয়া কৌশলে গাড়ি থেকে নেমে চলে যান। কিন্তু পরবর্তীতে স্কুলছাত্রী গাড়ি থেকে নামতে চাইলে চালক পাভেল তাকে ভয় দেখিয়ে মৌলভীবাজার শহর ও বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায় এবং রাতে উপজেলার শমসেরনগরের বড়চেগ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের পাশের রাবার বাগানে নিয়ে গাড়ির ভেতরে ধর্ষণ করেন। এ সময় স্কুলছাত্রী চিৎকার শুরু করলে চালক পাভেল তাকে শমসেরনগরের কেছুলুটি গ্রামের জনৈক শহিদুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে যায়।

পরদিন মঙ্গলবার সকালে রাবার বাগানে নিয়ে পুনরায় গাড়ির ভেতরে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন পাভেল। সন্ধ্যায় কৌশলে গাড়ি থেকে স্কুলছাত্রীকে নামানোর চেষ্টা করলে তার বাবাসহ এলাকার লোকজন পাভেল মিয়াকে তার প্রাইভেটকারসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটক পাভেলকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার (৬ জুলাই) সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়েছে। পলাতক অন্য আসামিকে আটকের চেষ্টা চলছে।