মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জে নারী ও শিশুসহ ৬ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে।
গত বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মুন্সীবাজার এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করেন স্থানীয়রা।
আটককৃত রোহিঙ্গারা হলেন- মোহাম্মদ শাহা (১৯), নুর ফাতেমা (১৭), আকলিমা (৭), জুনায়েদ (২৩), তহুরা (২৪) ও উমায়ের (৪)। তারা সকলেই কক্সবাজারের কুতুবপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ৫ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মুন্সীবাজার এর পাশে কৃষি জমিতে দুইজন পুরুষ, দুইজন মহিলা ও দুই শিশুসহ ৬ জনকে দেখে স্থানীয়রা। পরে তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাদের আটক করে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানায় তারা। পরে চেয়ারম্যান সেখান থেকে তাদের নিয়ে আসেন চেয়ারম্যানের মালিকানাধীন মেসার্স তুষার ফিলিং স্টেশনে। পরে মুন্সীবাজার ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নাহিদ আহমদ তরফদারের জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের রোহিঙ্গা আইডি কার্ড দেখায়। পরে তাদেরকে কমলগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সীবাজার ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নাহিদ আহমেদ তরফদার বলেন, স্থানীয়রা নারী-শিশুসহ ৬ রোহিঙ্গা আটক করে আমায় খবর দেন। পরে আমি তাদের আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে আসি। তারপর কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা পুলিশকে অবগত করি।
তিনি আরও বলেন, একজন রোহিঙ্গা মহিলা ৭ মাসের অন্ত:স্বত্বা। তাদের কাছে রোহিঙ্গা আইডি কার্ড পাওয়া যায়। দালালের মাধ্যমে তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চলে আসে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক রোহিঙ্গারা জানায় যে, গত ২৩ জানুয়ারি সিলেট শহরে মাজার জিয়ারত করার উদ্দেশ্যে কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার কুতুবপালং শরনার্থী শিবির হইতে পালিয়ে চলে আসেন। তারা সিলেটে হযরত শাহজালাল (র:) মাজারে এসেছিল। বাংলা ভাষা ঠিকমতো বুঝতে না পারায় বিস্তারিত কিছু বলতে পারেনি তারা।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল আলম জানান, স্থানীয়রা রোহিঙ্গাদের আটক করে থানায় অবগত করলে তাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের রোহিঙ্গা শিবিরে পাঠানোর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।