সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় আন্দোলনকারীদের সাথে প্রশাসনের দুই ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পরও ফলপ্রসূ কোনো সমাধান আসেনি। ফলে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, সিসিটিভিতে ধরা পড়া মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করা হলে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলবে।
এদিকে দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা ও নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের শ্লীলতাহানির চেষ্টার ঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে দুটি মামলা করেছে ওসমানী হাসপাতাল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ। একটি মামলায় ৭ জন এবং অপর মামলায় ১ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২-৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
দুই মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বেলা আড়াইটায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে ওসমানী মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও পুলিশ প্রশাসন। বিকেল সাড়ে ৪টায় বৈঠক শেষ হলেও ফলপ্রসূ কোনো সমাধান আসেনি।
ফলে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন ও কর্মবিরতি পালনের মাধ্যমে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। শিক্ষার্থীদের দাবি, বহিরাগতরা এখনও তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে। ফলে তারা নিরাপত্তা চান।
যদিও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাজনিত সকল দাবি মেনে নেয়া হয়েছে বলে জানান বৈঠকে উপস্থিত মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সুধিজনেরা।
প্রপ্সঙ্গত, তিনদিন আগে চিকিৎসকের স্বজনদের সাথে ইন্টার্ন চিকিৎসকের হাতাহাতির জের ধরে গতকাল সোমবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় কলেজের ভেতরে অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় বহিরাগতরা। এতে সিওমেক’র দুই শিক্ষার্থী আহত হন। এর প্রতিবাদে সোমবার রাত ১০টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।