গেল রাতে সড়ক অবরোধ ও আন্দোলন কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করার ঘোষণা দিলে এখন পর্যন্ত ক্লাশ পরীক্ষা বর্জনে অনড় রয়েছে ওসমানী মেডিকেল কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। একইসাথে গেল রাত থেকে এখন হাসপাতালে কাজে যোগ দেয়নি ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
তবে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ, বহির্বিভাগ ও অন্যান্য চিকিৎসাসেবা স্বাভাবিক অবস্থায় চলতে দেখা গেছে।
যদিও, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন না করায় চিকিৎসাসেবা কিছুটা ব্যহত হচ্ছে।
এর আগে পুলিশ ওসমানী মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর উপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় রাব্বি ও এহসান নামে দুজনকে আটক করলেও বাকি জড়িতদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ক্লাশ পরীক্ষা বর্জনে অনড় থাকবে বলে জানিয়েছেন সিওমেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘হামলার সাথে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা ক্লাশ পরীক্ষা বর্জনের পাশাপাশি আরও কঠিন কর্মসূচিতে যাবো।’
এদিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আজ বেলা দুইটায় কলেজ, হাসপাতাল, পুলিশ প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বৈঠকে বসার কথা ছিল। বেলা সোয়া ২টায় সরেজমিনে ঐ বৈঠকের প্রস্তুতি শুরু হতে দেখা গেছে। বৈঠক শেষে আন্দোলনের গতি কোনদিকে মোড় নেবে তা জানা যাবে।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থীর উপর হামলার ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করে ইন্টার্নি চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা। এমনকি হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মেডিক্যালের সামনের সড়ক অবরোধ করে করে তারা। এসময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ছাড়া অন্যান্য চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তিনদিন আগে রোগীর স্বজনদের সাথে হাতাহাতি হয় ইন্টার্নি চিকিৎসক। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর মেডিকেল কলেজ এলাকায় কয়েকজন বহিরাগত অস্ত্র নিয়ে আসে। কোনো কারণ ছাড়াই হামলে পড়ে শিক্ষার্থীদের ওপর। হামলায় আহতরা হলেন- মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী রুদ্র নাথ ও নাইমুর রহমান ইমন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুধু হামলাই নয়, ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে; অভিযোগ আন্দোলনকারীদের।
এমন বাস্তবতায় বৈঠকে বসে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল, পুলিশ প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। বৈঠক শেষে তাদের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আন্দোলনকারিরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেন।