আগামী ৩ মার্চ ছিল জাহেদের বিয়ে। দিনতারিখ গুনলে বাকি ছিল মাত্র চারদিন। ঠিক চারদিন আগেই ঘাতক বাস কেড়ে নিলো জাহেদের প্রাণ। শুধু জাহেদই নয়, ওই ঘাতক বাস কেড়ে নিয়েছে তার বন্ধু রেদওয়ানকেও।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মর্মান্তিক এমন ঘটনাটি ঘটেছে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের গোয়ালাবাজার ঘয়নাঘাট নামক স্থানে।
দুর্ঘটনায় নিহত জাহেদ মিয়া ওসমানীনগর উপজেলার রশেরগাঁও গ্রামের মোশাহিদ মিয়ার ছেলে। দুর্ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় সন্ধ্যায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন : ওসমানীনগরে দুর্ঘটনায় আহত রেদওয়ানও মারা গেলেন
জাহেদের মৃত্যুর কয়েকঘন্টা পর রাত ১০টার দিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একসাথে আহত তার বন্ধু রেদওয়ানও। রেদওয়ান বিশ্বনাথ উপজেলার সাধুগ্রামের ইসমাইল আলীর পুত্র।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্বরত এসআই জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুর্ঘটনার পর হাইওয়ে পুলিশের শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল দেব জানান, জাহেদ মিয়া ও রেদোয়ান আহমদ মোটরসাইকেলযোগে গোয়ালাবাজার থেকে তাজপুরের দিকে যাওয়ার পথে অজ্ঞাতনামা একটি বাসের ধাক্কায় দুজনই গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস তাদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহেদ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর ঘাতক বাস পালিয়ে গেলেও সেটি সনাক্ত করে আটক করার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
এদিকে জাহেদ এবং রেদওয়ানের মতো দুটি তাজা প্রাণ নিহতের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।