সিলেটের ওসমানীনগরে অটোচালক ব্রজেন্দ্র শব্দকরকে লোহার হাতুড়ি দিয়ে ৩/৪টি আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার ও হত্যায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (১৮ জুন) দুপুরে সিলেট পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. সেলিম এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন-সিলেটের ওসমানীনগরের মজলিশপুর গ্রামের মৃত ফিরোজ আলীর ছেলে মো. গুলজার আলী (২৭) ও মৃত তাহির আলীর ছেলে শিপন মিয়া (২৭)।
তাদের মধ্যে আসামি গুলজার আলীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থেকে ও শিপন মিয়াকে ওসমানীনগর থানা এলাকা থেকে বুধবার (১৪ জুন) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ৪ মে রাতে ব্রজেন্দ্র শব্দকরের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে ব্যবহৃত হাতুড়িটি পার্শ্ববর্তীতে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয় দুজন দুর্বৃত্ত। এরপর তারা ব্রজেন্দ্রর অটোরিক্সাটি বিক্রি করে টাকা দুজনে ভাগ করে নেয়।
এ ঘটনায় ভিকটিম ব্রজেন্দ্র শব্দকরের স্ত্রী বাদী হয়ে ওসমানীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অবশেষে ১৪ জুন হত্যামামলার আসামী গুলজার আলী ও শিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরে আসামি গুলজার আসামী গুলজার আলী বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন।
মামলার এজাহারে জানা যায়, বজেন্দ্র শব্দকর ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাত সাড়ে নয়টায় ব্রজেন্দ্র শব্দকরকে কৌশলে অটোরিক্সা নিয়ে ঘুরতে যাবার কথা বলে তাজপুর বাজার হতে বুরুঙ্গা রাস্তায় নিয়ে যায় আসামিরা। ব্রজেন্দ্র শব্দকর রাতে চোঁখে একটু কম দেখে। আসামি গুলজার আলী পূর্ব হতে অটোরিক্সা চালানোতে পারদর্শী থাকায় এবং তারা পূর্ব পরিচিত হবার কারণে তাজপুর বাজার হতে গাড়ি নিয়ে যাবার সময়ে আসামি গুলজার আলী নিজে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর ব্রজেন্দ্র শব্দকর পস্রাব করার কথা বলে গাড়ি হতে নেমে রাড়ার দক্ষিণ পাশে পস্রাব করতে বসে। এ সময়ে আসামি শিপন মিয়া পিছন দিক হতে লোহার হাতুড়ি দিয়ে ব্রজেন্দ্র শব্দকরের মাথায় ৩/৪টি আঘাত করে এবং ধাক্কা দিয়ে রাড়ার নিছে ফেলে দেয়। পরে আসামিরা অটোরিক্সাটি বিক্রি করে দেয়।
সিলেট ভয়েস/এএইচএম