সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেছেন, এন্ডোলাইট বাংলাদেশ আর্তমানবতার সেবায় সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয় শোক দিবস বাঙালি জাতির শোকের দিন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল একটি স্বাধীন সুন্দর ও সফল দেশ পরিচালনা করা। সেই স্বপ্নের অংশ হিসেবে আমাদের অর্থোপেডিক বিভাগ থেকে যে উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে সেটি প্রশংসনীয়। এন্ডোলাইট বাংলাদেশ এর উদ্যোগে একজন অসহায় মানুষকে যে সাহায্য-সহযোগিতা করছে তা প্রশংসনীয়। আমাদের সরকার এই মেডিকেলে দশ টাকা টিকেট দিয়ে বিনামূল্যে রোগীদের সেবা দিয়েছে। পৃথিবীর কোনো দেশে সেটা আছে বলে আমার ধারণা নেই। আমাদের দেশের সরকার প্রচুর টাকা দিচ্ছে, কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা সেই অর্থ বিভিন্ন দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি থাকার কারণে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছি না। এরপরও আমাদের সরকার যে বাজেট দিয়েছে সেই পরিমাণ অর্থ ও জনবল আছে। যদি আমরা সবাই মিলে কাজ করি তাহলে সাফল্য পাওয়া যাবে। আমরা আশা করি ভবিষ্যতেও এন্ডোলাইট বাংলাদেশ সবসময় আমাদের পাশে থাকবে।
শনিবার (২৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগ, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্যোগে বিনামূল্যে কৃত্রিম পা সংযোজনে এন্ডোলাইট বাংলাদেশ এর সার্বিক সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. শংকর কুমার রায় বলেন, এন্ডোলাইট বাংলাদেশ আজ যে উদ্যোগ নিয়ে যে উপহার দিয়েছে তার কোনো তুলনা করা যায় না। এন্ডোলাইট বাংলাদেশ রোগী মো. মুজিবুর রহমানকে সহযোগিতা করার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রতিবছর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অর্থোপেডিক বিভাগের উদ্যোগে পঙ্গু রোগীদের বিনামূল্যে কৃত্রিম পা ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
১এন্ডোলাইট বাংলাদেশ এর টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার মো. পারভেজ হোসেন খান ও ডা. জাবেদ মিনহাজ সিদ্দিকীর (সহকারী রেজিস্ট্রার) যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফারুকুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক ডা. বাকি বিল্লাহ, সহকারী অধ্যাপক ডা. আব্দুস সুবহান রাহিন, অর্থোপেডিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. গৌতম বরুণ মিস্ত্রী, অর্থোপেডিক বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. মাসউদুর রহমান, ডা. মো. মুসা, ডা. সৈয়দ মাহবুবুল হাসান, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (অর্থোপেডিক অ্যান্ড ট্রমাটোলজি) ডা. ফয়সল আহমদ মুহিন, এন্ডোলাইট বাংলাদেশ এর টেকনিশিয়ান অ্যান্ড মার্কেটিং অ্যাক্সিকিউটিভ মো. জাহাঙ্গীর আলম, অ্যাসিসট্যান্ট টেকনিশিয়ান অ্যান্ড মার্কেটিং অ্যাক্সিকিউটিভ মো. সেলিম মোল্লা প্রমুখ।
সহযোগিতা পাওয়া রোগী মো. মুজিবুর রহমান বলেন, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. শংকর কুমার রায় স্যারের মাধ্যমে এন্ডোলাইট বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে পা পেয়ে আমি পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারায় তাদেরকে অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।