ওমরাহ করা হলো না মৌলভীবাজারের রাফির

মাকে নিয়ে আসছে রমজান মাসে ওমরাহ করতে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা ছিল শফিউল ইসলাম রাফির। কিন্তু মা ও ছেলের সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। ছেলে রাফি এখন বাক্সবন্দী, আর মা জ্ঞান হারিয়ে শয্যাশয়ী।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মৌলভীবাজারের গিয়াসনগর এলাকায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শফিউল ইসলাম রাফি (১৯) নিহত হন। তিনি মৌলভীবাজারের শাহ মোস্তফা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র এবং মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আখাইলকুড়া ইউনিয়নের নোয়ারাই গ্রামের দুবাই প্রবাসী মজনু আহমদের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, বিকেলে রাফি মোটরসাইকেলযোগে শ্রীমঙ্গলে যাচ্ছিলেন। পথে গিয়াসনগর এলাকায় একজন পথচারী রাস্তা পারাপার হচ্ছিলেন। তখন রাফি পথচারীকে বাচাঁতে গেলে তার মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাফিকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা তার মা রিমা আক্তার ও আত্মীয়-স্বজনরা। বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তারা। বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। রাফির বাবা দুবাই থেকে ফিরলে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

নিহতের চাচা কয়েছ আহমদ বলেন, আমার ভাতিজা কয়েকদিন আগে কলেজে ভর্তি হয়। তার মাকে নিয়ে ওমরাহ করতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। মা বারবার জ্ঞান হারাচ্ছে। আমার ভাইয়ের একমাত্র সন্তান আমাদের ছেড়ে চলে গেল।

মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মশিউর রহমান বলেন, নিহতের মরদেহ হাসপাতালে আসার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।‌