সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এটিএম হাসান জেবুল বলেছেন, ‘মনোনয়ন যে কেউ চাইতে পারেন। কিন্তু দলীয় আনুগত্য যাদের আছে তারা অবশ্যই দলের মনোনীত প্রার্থীকে মেনে নিয়ে তাকে বিজয়ী করতে ত্যাগ স্বীকার করবেন। আমি নিজেও সেই ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত।’
কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চাইতে আপনারাই আমাকে উৎসাহিত করেছেন। সুসময় এবং দুঃসময় সবসময়ই আপনারা নির্ভরশীলতার প্রতীক হয়ে আমার পাশে ছিলেন। আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতেও আপনাদের পাশে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।
মঙ্গলবার নগরীর জিন্দাবাজারে এটিএম হাসান জেবুলের ঘনিষ্ঠজন, বন্ধু-স্বজন, সমর্থক নেতাকর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। সেই সভায় জেবুল এসব কথা বলেন।
এসময় এটিএম হাসান জেবুল আরও বলেন, এখন ব্যক্তি নয়, দলের জন্য কাজ করার সময়। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদটি এবার আমাদের পুনরুদ্ধার করতেই হবে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী যোগ্য প্রার্থীই দিয়েছেন আমাদের। এখন বিজয় উপহার দেয়াটা আমাদের পালা। ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে অবশ্যই তা সম্ভব।
তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকার বিজয় নিশ্চিতে কাজ করার আহ্বান জানান।
মতবিনিময়কালে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সবসময় ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচনী মাঠে কাজ করেন। এবারও সেই দৃষ্টান্ত দেখছেন সিলেটবাসী। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটিএম হাসান জেবুল ভাই মনোয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। ছিলেন আরও অনেক শ্রদ্ধাভাজন নেতা। তারা কেউ আমার চেয়ে কোন অংশেই কম যোগ্য নয়। তবে দল আমাকে মনোনয়ন দেয়ার পরপরই সবাই স্বাগত জানিয়েছেন এবং নৌকার জয়ের জন্য মাঠে নেমেছেন।’
আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘আমি মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতৃবৃন্দকে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। এই ভ্রাতৃত্ববোধ আছে বলেই আওয়ামী লীগের অগ্রযাত্রা চলছে এবং তা চলতেই থাকবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন, এ টি এম এ হাসান জেবুল কুতুব উদ্দিন, রাজু লস্কর, আফসা আহমদ, ফজলুল করিম ফুল, আব্দুল আজিজ মনু, জোনেদ কোরাসানি, সাহেদ আহমদ, মিটুন দত্ত প্রমুখ।