সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) ফেব্রুয়ারি মাসের কল্যাণ সভা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় এসএমপির পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে অনুষ্ঠিত মাসিক কল্যাণ সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্মানিত পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন এসএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সদর ও প্রশাসন) মো. জোবায়েদুর রহমান পিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর ও প্রশাসন) তোফায়েল আহমদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহা. সোহেল রেজা পিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী শেখ পিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক ও ইএন্ডডি) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব, উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. জাহেদ পারভেজ চৌধুরীসহ সকল অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, সহকারী পুলিশ কমিশনার ও সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ, আর আই পুলিশ লাইন্স, বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্সগণ।
এসময় পুলিশ কমিশনার উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন বিষয়ে মতামত গ্রহণসহ শীঘ্রই তা সমাধানে আশ্বস্ত করেন। পাশাপাশি তিনি বিগত মাসে পুলিশি কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সকলকে ধন্যবাদ জানান।
কল্যাণ সভায় তিনি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ বাংলাদেশ-আইজিপি নির্দেশিত পুলিশিং, পুলিশের ইমেজ, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশনাবলী, শৃঙ্খলা-ড্রেসকোড বজায় রেখে পেশাদারিত্বের সাথে ডিউটিসহ বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি বলেন, ‘ভাল কাজের জন্য যেমন পুরস্কার প্রদান করা হয় তেমনি কোন পুলিশ সদস্য খারাপ কাজ করলে তাকে অবশ্যই শাস্তি ভোগ করতে হবে।’
পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় এসএমপি হেডকোয়ার্টার্স এর কনফারেন্স রুমে পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফের সভাপতিত্বে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সদর ও প্রশাসন) মো. জোবায়েদুর রহমান পিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর ও প্রশাসন) তোফায়েল আহমেদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহা. সোহেল রেজা পিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী শেখ পিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক ও ইএন্ডডি) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব, উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. জাহেদ পারভেজ চৌধুরীসহ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারগণ, সহকারী পুলিশ কমিশনারগণ ও অফিসার ইনচার্জগণ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উক্ত সভায় র্যাব-৯, পিবিআই, হাইওয়ে, সিআইডি, নৌ-পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিজ্ঞ পিপি মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত সভায় সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ তাদের থানা এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। পাশাপাশি উপস্থিত বিভিন্ন ইউনিটের প্রতিনিধিগণ আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন।
এসময় তদন্তাধীন মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য এবং বিট পুলিশিং কার্যক্রমকে আরো বেগবান করার জন্য এসএমপির সকল থানার অফিসার ইনচার্জদের নির্দেশ প্রদান করেন পুলিশ কমিশনার। এছাড়া তিনি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সভায় মূলতবী মামলাসমূহের দ্রুত নিষ্পত্তি, ওয়ারেন্ট তামিল, রেজিস্ট্রার-পত্র হালনাগাদ রাখা, আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগ ও মামলা তদন্তে বিজ্ঞ আদালত এবং অন্যান্য পুলিশ ইউনিট এর সাথে সার্বিক সমন্বয় রাখা, ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক যথাযথ ভাবে মোটরযান আইনে ব্যবস্থা নেয়া সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় বিগত মাসে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসারদের পুরস্কৃত করা হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহা. সোহেল রেজা পিপিএম, সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মাইন উদ্দিন খাঁন (দক্ষিণ সুরমা থানা), অফিসার ইনচার্জ কামরুল হাসান তালুকদার (দক্ষিণ সুরমা থানা), দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি (তদন্ত) ইন্সপেক্টর সুমন কুমার চৌধুরী, ইন্সপেক্টর মো. আবুল বশর চৌধুরী (সদর বিভাগ), ইন্সপেক্টর সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ডিবি), ইন্সপেক্টর মো. আলী আশ্রুফ, পিপিএম (প্রশিকিউশন), ইন্সপেক্টর আল আমিন (সিটিএসবি), টিআই মো. দেলোয়ার হোসেন খাঁন (ট্রাফিক), এসআই সাজেদুর করিম সরকার (কোতোয়ালি মডেল থানা), এসআই মো. আতিকুর রহমান (ডিবি), এসআই কাজী আহম্মেদ হোসেন (প্রসিকিউশন), এসআই মো. কামরুল ইসলাম (সদর বিভাগ), টিএসআই শ্রী নিখিল চন্দ্র সাহা (ট্রাফিক বিভাগ), এসআই মো. এলামুল হক চৌধুরী (সিটিএসবি), এএসআই মো. রেজাউল করিম (জালালাবাদ থানা), এএসআই বিলকিস আক্তার (সদর বিভাগ), এটিএসআই মো. গাজী মাজহারুল ইসলাম (ট্রাফিক বিভাগ), এএসআই শম্ভু দেব (সিটিএসবি), কনস্টেবল মো. হুমায়ুন কবির (মোটরযান শাখা)।
এছাড়াও এসএমপির সাঁটলিপিকার কাম-কম্পিউটার অপারেটর গোপনীয় শাখায় কর্মরত মো. জামসেদ জামিল অপু, অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক প্রশাসনিক শাখায় কর্মরত মো. নেছার উদ্দিনকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
