সিলেটে রাস্তার পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় এমসি কলেজের এক ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২৮ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১টার দিকে সিলেট নগরীর উপকণ্ঠ বটেশ্বর এলাকার গ্রিন লঙ্কা রেস্তোরাঁর সামনে থেকে অচেতন অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
তাৎক্ষণিক তাকে জালালাবাদ সেনানিবাস সিএমএইচে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে বিকেলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সিলেট এমসি কলেজের শিক্ষার্থী ওই ছাত্রীর বাড়ি দক্ষিণ সুরমা উপজেলায়। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া টিস্যু পেপারে চিরকুটে লেখা ছিল-‘ও আমাদের শিকার নয়, আমাদের গাড়িতে সিগন্যাল দিছে, এর লাগি আমরা পুরিরে (মেয়েকে) গাড়িতে তুলতে বাধ্য হইছি। কোনো ভালা মানুষে পাইলে পৌঁছাই দিও।’
সিলেট শাহপরান (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, ওই ছাত্রী অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন কিংবা তেমন কিছুই ছিল না। এজন্য সম্ভবত তাকে রেখে গেছে। কলেজছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের ডেকে তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন মেয়েটির জ্ঞান ফিরেছে। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত।
চেতনা ফেরার পর ওই কলেজছাত্রী পুলিশকে জানান, সোমবার সকালে বাড়ি থেকে কলেজে পরীক্ষা দিতে যান তিনি। বেলা ১১টার দিকে নগরীর বন্দরবাজার থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। তার দুই পাশে দুই নারী উঠেছিলেন। এরপর তিনি কিছুই বলতে পারেন না। চেতনা ফিরলে নিজেকে হাসপাতালে আবিষ্কার করেন।
স্থানীয়রা বলেন, মেয়েটিকে রাস্তার পাশে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। কলেজছাত্রীর কাছে ফাইলে একটি রেজিস্ট্রেশন কার্ড পাওয়া যায়। ফাইলে টিস্যুতে কলম দিয়ে লেখা চিরকুটটিও জব্দ করা হয়।
পুলিশ বলছে, ওই কলেজছাত্রী অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছিলেন। তার কাছে মোবাইল ফোন কিংবা তেমন কিছুই ছিল না। এজন্য সম্ভবত তাকে রেখে গেছে। কলেজছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের ডেকে তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।