এমবাপে-জিরুর গোলে কোয়ার্টারে অপ্রতিরোধ্য ফ্রান্স

এমবাপে-জিরুর গোলে পোল্যান্ড বাধা টপকে ৩-১ গোলের জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ফরাসিদের পক্ষে জোড়া গোল করেন কিলিয়ান এমবাপে। একটি গোল আসে অভিলিয়ে জিরুর পা থেকে। পোল্যান্ডের হয়ে শেষ মুহূর্তে একটি গোল শোধ করেন লেওয়ানডোভস্কি।

নকআউট পর্বেও গ্রুপে পর্বের মতো অপ্রতিরোধ্য দেখা গেলো ফ্রান্সকে। তাদের সামনে শেষ ষোলোর লড়াইতে দাঁড়াতেই পারেনি পোল্যান্ড। ৩-১ গোলের জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ফরাসিদের পক্ষে জোড়া গোল করেন কিলিয়ান এমবাপে। একটি গোল আসে অভিলিয়ে জিরুর পা থেকে। পোল্যান্ডের হয়ে শেষ মুহুর্তে একটি গোল শোধ করেন লেওয়ানডোভস্কি।

আল থুমামা স্টেডিয়ামে শুরু থেকে পোল্যান্ডকে চাপের ওপর রাখে ফ্রান্স। পোলিশরা রক্ষণাত্মক না খেলে আক্রমণে যাওয়ায় ফরাসিদের জন্য মাঠে পর্যাপ্ত জায়গা তৈরি হয়। যার ফায়দা লুটে নেন এমবাপে ও জিরু।

প্রথমার্ধে, একটাই ভালো সুযোগ পায় পোল্যান্ড। ৩৬ মিনিটে বারতোস বেরেজিনস্কির কাট ব্যাকে জোরাল শট নেন পিটর জিয়েলিনস্কি। তার শট একেবারে কাছ থেকে ঠেকিয়ে দেন ফ্রান্সের গোলকিপার ও অধিনায়ক হুগো লরিস।

পোল্যান্ডের আক্রমণ সামলে আবারও প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হয় ফ্রান্স। ৪৪ মিনিটে ডেড লক ভাঙেন জিরু।

এমবাপের ক্রসে পোলিশ বক্সের মধ্যে বল পেয়ে যান অভিজ্ঞ এ স্ট্রাইকার। পোল্যান্ডের গোলকিপার ভইচেক শেজনিকে পরাস্ত করতে বেগ পেতে হয়নি তাকে।

এ গোল করে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতা বনে যান জিরু। ৫২তম গোল করে ছাড়িয়ে যান আগের রেকর্ডধারী থিয়েরি অঁরিকে।

এছাড়া ১৯৯০ সালে ক্যামেরুনের ৩৮ বছর বয়সী রজার মিলার পর নকআউটে গোল করা সবচেয়ে বয়সী খেলোয়াড় এখন এসি মিলানে খেলা ৩৬ বছর বয়সী জিরু।

১-০ গোলে এগিয়ে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে ফ্রান্স। এবারে ম্যাচের পুরো আলো নিজের দিকে টেনে নেন এমবাপে। তার গতির কাছে বারবার পরাস্ত হচ্ছিল পোলিশ ডিফেন্স। এর খেসারতও দিতে হয় তাদের।

৭৪ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক শুরু করে ফ্রান্স। উসমান ডেম্বেলের ক্রস বক্সের বাম প্রান্তে পেয়ে যান এমবাপে। সেখান থেকে সময় নিয়ে মাপা শটে শেজনিকে ফাঁকি দেন তিনি। এতে করে ২৪ বছরের কমে বিশ্বকাপে ৮ গোল করে পেলের রেকর্ড ভাঙেন এমবাপে। পেলে ২৩ বছর বয়সে বিশ্বকাপে ৭ গোল করেছিলেন।

ফ্রান্সের স্কোরলাইনে আরেকটি গোল যোগ করেন এমবাপে। ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই মার্কাস থুরামের পাসে গোল করে পোল্যান্ডকে ছিটকে দেন ম্যাচ থেকে। এরই সঙ্গে ৫ গোল করে পৌঁছে যান এবারের বিশ্বকাপের গোলদাতাদের শীর্ষে।

একেবারে শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে থেকে গোল করেও ম্যাচের ফলে প্রভাব ফেলতে পারেননি পোল্যান্ডের অধিনায়ক রবার্ট লেওয়ানডোভস্কি।