এমপিওভুক্ত হলো আরও ৯১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

বিশেষ বিবেচনায় দেশের ৯১টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর বিশেষ ২২ ধারায় এমপিওভুক্ত হয় এসব প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা যায়, এসব প্রতিষ্ঠান এমপিও নীতিমালার শর্ত পূরণ না করলেও সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ বিবেচনায় এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রস্তাবে সোমবার (১৬ অক্টোবর) অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সরকারি অর্ডার (জিও) জারি করা হতে পারে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত-সচিব (মাধ্যমিক-২) মো. রবিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ সংক্রান্ত নথিতে প্রধানমন্ত্রী সই করেছেন। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে জিও জারি করার চেষ্টা করছি।’

এদিকে, এমপিওভুক্ত করা ৯১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর কোনো শর্তই মানা হয়নি বলে জানা যায়। শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিবেচনায় যাচাই-বাছাই ছাড়াই তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে এ তালিকায় কোনো কারিগরি ও মাদ্রাসা নেই।

এর আগে, গত মার্চে মন্ত্রী ও এমপিদের ডিও লেটারের (বেসরকারি পত্র) পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ বিবেচনায় ৮৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির জন্য সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তা নাকচ করে দেওয়া হয়। তবে শিক্ষামন্ত্রীর নির্বাচনী আসনে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হওয়ার পর সরকারের উচ্চ মহলে চাপ তৈরি করেন অনেক মন্ত্রী। এরপর গত সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে বিশেষ বিবেচনায় ৯১টি প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়।

২০২১ সালে ৬ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের অধীনে দুই হাজার ৭১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়। শর্তপূরণ না হওয়ায় এমপিওভুক্তি হতে পারেনি সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ও এমপিদের নির্বাচনী এলাকার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি করা হবে বলে গত নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তারা।

এমপিও নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী, ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করা হয়। ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা (৩০ নম্বর), পরীক্ষার্থীর সংখ্যা (৩০ নম্বর) এবং পাবলিক পরীক্ষায় পাসের হার (৪০ নম্বর)। তবে, এ নীতিমালার ২২ ধারায় বিশেষ ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করে এমপিওভুক্তির বিধান রাখা হয়েছে।

সিলেট ভয়েস/এএইচএম