নির্বাচনের আগে সাকিব আল হাসানের বিএনএমে যোগ দিতে চাওয়া নিয়ে চলমান তুমুল সমালোচনার মধ্যেই এবার নতুন বিতর্ক উস্কে দিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী।
তাঁর দাবি, দ্বাদশ নির্বাচনের আগে সাকিব আল হাসান বিএনপিতে যোগ দেওয়ারও চেষ্টা করেছিলেন; কিন্তু তাকে বিএনপিতে নেওয়া হয়নি।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে বেসরকারি একটি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন নিপুণ রায়।
নিপুণ রায় বলেন, সাকিব আল হাসানের বিএনএমে যোগ দেওয়ার ইস্যুটি পরিষ্কার করেছেন মেজর (অব.) হাফিজ। বিএনএমের যিনি সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তাকে নিয়ে সাকিব আল হাসান গিয়েছিলেন মেজর হাফিজের কাছে। তাছাড়া অনেকভাবে প্রস্তাব দিয়েছিলেন সেটিও নাকচ করে দিয়েছেন মেজর হাফিজ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়ের পুত্রবধূ নিপুণ আরও বলেন, সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। কারণ এই সাকিব আল হাসান বিএনপিতে আসার জন্য নির্বাচনের আগে আমার সঙ্গেও দেখা করেছেন। বিএনপিতে যোগ দেবেন বলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে সশরীরে দেখা করতে চেয়েছিলেন।
নিপুণ রায় বলেন, নির্বাচনের আগে শ্রীলংকার সঙ্গে যখন ম্যাচ হয় তখন সাকিব আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এই সাকিব আল হাসানকে আমি সম্মান করি, কারণ তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। তবে তিনি স্বার্থের বাইরে কখনো চিন্তাও করেন না। এটাকে ঘৃণা করি। আজকে সাকিবের সঙ্গে মেজর হাফিজকে জড়ানো হচ্ছে এটা সরকারের একটা উচ্ছ্বাস।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের বাঘা বাঘা নেতারাও জানেন সাকিব আল হাসান কোন কোন ঘাটের পানি খেয়ে এসেছেন। সাকিব অন্তত দশ ঘাটের পানি খেয়েছেন। এরপরও আওয়ামী লীগের বক্তব্য অনুযায়ী সাকিব অন্য জায়গায় চলে যেতে পারেন। এ কারণে তখন শিখরকে সরিয়ে সাকিবকে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত হয়।
নিপুণ বলেন, সাকিব আল হাসান তারেক রহমানের সঙ্গে স্কাইপিতে কথা বলতে চেয়েছিলেন। আমার নেতা তাকে সময় দেননি। এটার প্রমাণ চাইলে সাকিব আল হাসানের বাসার ভিডিও চেক করেন। চেক করলে আরও অনেক কিছু পাবেন।
তার সঙ্গে কিভাবে সাকিবের যোগাযোগ সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন নিপুণ রায়। তিনি বলেন, আমার বাবার বাড়ি মাগুরা। এই সূত্র ধরে আমার ভাইয়ের মাধ্যমে সাকিব আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য আমাকে মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন সাকিব। উনি ভেবেছিলেন কোথায় গেলে সুবিধা পাবেন। কারণ সুবিধাবাদী লোকেরা সব সময় সুযোগ খোঁজেন। একইভাবে বিএনএমের সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে মেজর হাফিজের কাছে গিয়েছিলেন। সেখানেও তিনি পাত্তা পাননি। পরে আওয়ামী লীগ নৌকা দিলে সেখানে উঠে গেলেন।