এবার ঈদে বাড়বে চামড়ার দাম

আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার দাম বাড়ায় এবার কোরবানি ঈদে চামড়ার দাম বাড়বে বলে মনে করছে চামড়া ব্যবসায়ী সমিতি। কাঁচা চামড়ার গুণগত মান বজায় রাখা ও লবনের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান বাংলাদেশ চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপিত মো. আফতাব খান।

বুধবার (২৯ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভোক্তা অধিদপ্তর এর আয়োজন করে। প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মো. আফতাব খান বলেছেন, ১০ বছর আগে দেশে কোরবানির চামড়ার দাম চারগুণ বেশি ছিল। ২০১৫ সালের পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার কারণে দেশেও অনেক কমেছে। তবে এবার আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়ার দাম বাড়ছে। তাই আমাদের দেশেও এবার ঈদে চামড়ার দাম বাড়বে।

তিনি বলেন, ‌ কোরবানির ঈদে ৫০ লাখ গরু এবং খাসি ও ভেড়ার চামড়া ২০ লাখ পাওয়া যায়। ৮০ শতাংশ অদক্ষ মানুষ দিয়ে এই পশু জবাই করা হয়। এ জন্য চামড়াও নষ্ট হয়। স্বাভাবিক সময়ে ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা চামড়া রাখা গেলেও অত্যন্ত গরমের কারণে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে লবণ না দিলে নষ্ট হয়ে যায় এই চামড়া। তাই ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে লবণ লাগাতে হবে চামড়ায়।

ঠিকমতো চামড়ার দাম পাওয়া যায় না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একসময় ৩০০ টাকা বস্তা লবণ ছিল। তা থেকে বেড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা এমনকি বর্তমানে ১১০০ টাকা বস্তা হয়ে গেছে। গতবারও ঈদের সময় লবনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল লবণ ব্যবসায়ীরা। এবার যাতে না হয়। দেশে অনেক লবণ আছে। দেড় লাখ টন আমদানি করারও অনুমোদন দিয়েছে সরকার। তাই লবণের দাম ঠিক থাকলে এবার চামড়ার দামও বাড়বে।

তিনি বলেন, গতবারও ৭০০ থেকে ১০৫০ টাকা পিস দামে গরুর চামড়া কেনা হয়েছে। আশা করি এবার বেশি দাম পাওয়া যাবে। বাণিজ্যমন্ত্রী সভা করে দাম নির্ধারণ করে দেবেন। এই চামড়া গরিবের হক। আমরাও চাই গরিব এটা পাক। একসময় ৩২০০ থেকে ৩৪০০ টাকা গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে। বিভিন্ন কারণে তা থেকে অনেক কমে গেছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া টাকা না পাওয়ায় এফবিসিসিআই থেকে শুরু করে এমন কোনো জায়গা নেই যে চাওয়া হয়নি। তা চাইতে চাইতে এমন পর্যায়ে চলে গেছি যে, পুরনো গান নতুন করে বাজার মতো অবস্থা। বকেয়া টাকার জন্য আমরা তাগাদা করেই যাচ্ছি।

ভোক্তা অধিদপ্তরের ডিজিও বলেন, যেহেতু লবণের কোনো সমস্যা নেই। আন্তর্জাতিক বাজারেও বাড়ছে চামদার দাম। তাই বাড়বে দাম। ট্যারিফ কমিশন থেকে দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে। তবে কতো দাম এটা আমাদের বলার না। অন্যান্য বছরের মতো এবারও সবার সঙ্গে আলোচনা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে চামড়ার দাম নির্ধারণ করে জানিয়ে দেওয়া হবে।