এসএসসি ও সমমান পাশ শিক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম দফায় আবেদন নেয়া শুরু হবে ৮ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। ভর্তি কার্যক্রম শেষে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে একাদশ শ্রেণির পাঠদান শুরু হবে। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের এক সভায় এ সংক্রান্ত নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সভায় কারিগরী ও মাদ্রাসা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবুবকর ছিদ্দীকসহ সংশ্লিষ্ট পদস্থ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, সাধারণ শিক্ষায় এবারও মোট তিনদফা আবেদন নেয়া হবে। প্রথম দফায় আবেদন প্রক্রিয়া শেষ করা হবে ১৫ ডিসেম্বর। এভাবে আরও দুই দফা আবেদন নেয়া হলেও ভর্তির কাজ শেষ করা হবে ২৬ জানুয়ারি। ১ ফেব্রুয়ারি ভর্তিকৃতদের উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি শুরু হবে। ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত নীতিমালা সোমবার প্রকাশ করা হবে।
তবে এবার ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের সীমারেখা তুলে নেয়ার বিষয়টি সবচেয়ে বড় একটি সিদ্ধান্ত। শিক্ষার্থীরা এবারও এসএমএসে কোনো আবেদন করতে পারবে না।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, অনলাইনে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করা যাবে। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা।
আবেদনে একটি মোবাইল ফোন নম্বর দিতে হবে। একই মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে একাধিক আবেদন করলে সফটওয়্যার ধরে ফেলবে। এটি করা হয়েছে মূলত স্কুল অ্যান্ড কলেজগুলো যাতে তাদের ছাত্রছাত্রীদের জোরপূর্বক উচ্চ মাধ্যমিকে পড়তে বাধ্য করতে না পারে।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৭ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ জন। শিক্ষার্থীরা এখন উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির অপেক্ষায় আছে।