সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় দুলা মিয়া (২৬) হত্যা মামলায় একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং অন্য ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুরে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিউদ্দিন মুরাদ এই রায় প্রদান করেন।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালের ২৪ নভেম্বর গ্রামের ডোবায় মাছ ধরা নিয়ে জগন্নাথপুরের দাওরাই গ্রামের সফর আলী ও হীরা মিয়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। গুরুতর আহত সফল আলীর ভাতিজা দুলা মিয়াকে (২৬) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার সময় পথেই মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় ৩২ জনকে আসামি করে দুলা মিয়ার চাচা সফর আলী দুইদিন পর ২৬ নভেম্বর জগন্নাথপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
আদালতে মামলা চলাকালীন সময়ে পাঁচজন আসামি মৃত্যুবরণ করেন। বাদী সফর আলীও মারা যান। পলাতক রয়েছেন ১০ জন আসামি।
আদালত ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার সম্ভুপুর গ্রামের রহিদ উল্লার ছেলে হীরা মিয়া প্রকাশ ইজাজুলকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দন্ডিত করেন। অন্য আসামিদের মধ্যে দাওরাই গ্রামের মসকদ উল্লাহ্’র ছেলে আব্দুল মন্নাফ, একই গ্রামের আমরু মিয়ার ছেলে কয়েছ, রৈফত উল্লার ছেলে মসকুর ও নেছাওরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। একই সাথে আরেক আসামি নূর হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন আদালত।
মামলায় বাদীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পিপি সোহেল মিয়া ও অ্যাডভোকেট আবুল মজাদ চৌধুরী। আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন অ্যাডভোকেট হুমায়ুন মঞ্জুর চৌধুরী।