ঈদযাত্রায় সড়ক ও মহাসড়কে যাত্রী ভোগান্তি ও যানজট কমাতে ১৫টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার বনানীর বিআরটিএ সম্মেলন কক্ষে এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নেওয়া ১৫ সিদ্ধান্ত :
মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী গরুর হাটগুলো সুশৃংখল করতে হবে, মহাসড়কের ওপর পশুবাহী ট্রাক থেকে পশু ওঠানামা করানো যাবে না, মহাসড়কের ওপর পশুবাহী ট্রাক পার্কিং করা যাবে না, অস্থায়ী হাটের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে মহাসড়ক বা সড়কের যান চলাচল ও যানজটের বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে, পশুবাহী প্রত্যেক যানবাহনকে সামনে এবং পেছনে গন্তব্য হাটের নাম লিখে চলাচল করতে হবে এবং সড়ক-মহাসড়কের ওপর থেকে ব্যানার পোস্টার অপসারণ করতে হবে, ফিটনেসবিহীন, রোড পারমিট বিহীন গাড়ি এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এছাড়া বর্ষায় সড়ক ও মহাসড়কের গর্ত সৃষ্টি হলে তা দ্রুত মেরামত করতে হবে, পদ্মা সেতু ও বঙ্গবন্ধু সেতুসহ অন্যান্য সেতুর ওপর গাড়ি নষ্ট হলে তা দ্রুত অপসারণ করতে হবে, চন্দ্রা, গাজীপুর, বাইপাইল ও তৎসংলগ্ন এলাকার গার্মেন্টসগুলোকে ধাপে ধাপে ছুটি দিতে হবে, গার্মেন্টস শ্রমিকরা যেন আনফিট গাড়ি ভাড়া করতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে, মহাসড়কের কৌশলগত ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ‘রোড রেকার ট্রাক’ রাখতে হবে, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধের লক্ষ্যে বিআরটিএর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে, ঈদের আগের দিন জরুরি সার্ভিস ছাড়া ভারী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরি বন্ধ রাখতে হবে এবং সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও পেট্রোল পাম্পগুলোকে ঈদের আগের ৭ দিন এবং পরের ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হবে এবং এবারের ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে বিআরটিসির ৫০০টি বাসের ব্যবস্থা রাখা হবে।