প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমাদের যে আইন ও বিধিমালা রয়েছে সেখানে ইসিকে সহায়তা করতে সরকার বাধ্য থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করব, সরকার সে সহায়তা দেবে। সরকারও সেটা বুঝবে। আমরাও আদায় করে নেওয়ার চেষ্টা করব।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) নির্বাচন ভবনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সঙ্গে সংলাপে সিইসি এসব কথা বলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমি যদি হারি সেটা বড় কথা হবে না। কিন্তু আমাদের মনস্তাত্ত্বিক এমন একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে যে কোনোভাবেই হারব না। কিন্তু হারতে তো একজনকে হবেই। এই পরিবর্তনটাও এখন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। জিতলে খুশি লাগবে, হারলে হয়ত মনে কষ্ট লাগবে। কিন্তু মনস্তাত্ত্বিক যে সংকট হারা যাবে না, এটা অর্থ শক্তির কারণে হতে পারে, অন্য কোনো কারণে হারা যাবে না। অথবা রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে হতে পারে। কিন্তু সেই অবস্থা থেকে উঠে আসতে হবে। গণতন্ত্রকে বুঝতে হবে, এর বিকাশকে বুঝতে হবে, এর ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতাকে বুঝতে হবে।
সিইসি বলেন, নির্বাচনের সময় অনেকটা ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের ওপরই এসে যায়। সংবিধানে সে কথা বলা হয়েছে। আমাদের যে আইন বিধিমালাগুলো রয়েছে, সেখানে ইসিকে সহায়তার কথা উল্লেখ করা আছে। সরকারকে এসব সহায়তা দিতে বলব, সরকার তা দিতে বাধ্য থাকবে। আমরা আমাদের দায়িত্ব আইনের আলোকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। লজ্জা পেয়েছেন, যে অবস্থান দেখেছেন এর মধ্য থেকেই সেখান থেকে আমরাদের উঠে আসতে হবে। হতাশ হলে চলবে না। ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে। নির্বাচন কমিশন একা দায়িত্ব পালন করতে পারবে যদি আপনারা পাশে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা বারবার বলেছি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। কেউ বলবেন যে আসার আসুক, না আসলে নেই। না, আমি বলব নির্বাচনে যদি সব দল থাকে তাহলে একটা ভারসাম্য সৃষ্টি হয়। আপনিই প্রতিহত করতে পারেন। এটা কিন্তু গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থার একটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ, যেটা বহুদলীয় হবে, বহুমাত্রিক হবে এবং সব দলের সহাবস্থান থাকবে। আমরা সাহায্য করতে চাই, সাহায্য সহায়তা পেতে চাই।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া যাতে না হয় সেটা আমরা চেষ্টা করব। রাজনৈতিক হয়রানি যেন না হয় সেটার ব্যবস্থা করা হবে। গণহারে যদি কিছু হয় সেটা পেপার পত্রিকায় আসবে। আমরা সেটা লক্ষ্য রাখব।
সিইসি আরও বলেন, আমরা সংবিধানের নির্দেশনার আলোকে নির্বাচন করার চেষ্টা করব। সরকার সহায়তা দেবে এটা আমরা বিশ্বাস করি। ইভিএমে হেল্প করার নামে কেউ ভোট দিয়ে দিলে সেটা আমাদের নলেজে আছে। একবার অনিয়ম হয়েছে বলে বারবার হবে এমন নয়। আশা রাখবেন, পাশে আছি ইনশাআল্লাহ।
এনপিপির চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন ছালুর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেন। এছাড়া প্রধান নির্বাচন নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।