অবরুদ্ধ গাজার বাসিন্দাদের সরে যেতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ইসরাইল। এই আল্টিমেটামের পরে ইসরাইলে আরও দেড় শতাধিক রকেট নিক্ষেপ করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। একইসাথে হামাস জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিরা তাদের জন্মস্থান ছেড়ে কোথাও যাবে না।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) জানিয়েছে, ইসরাইল যখন ভূমি থেকে অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন ফের রকেট হামলা শুরু করেছে হামাস।
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জনিয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের বাস্তুচ্যুত ও লক্ষ্যবস্তু করার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের আশকেলন শহরের দিকে ১৫০টি রকেট ছোড়া হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরাইলে হামলা চালানোর প্রথম দিনই কয়েক হাজার রকেট ছোড়ে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এর পর ইসরাইলের অভ্যন্তরে ঢুকে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির সদস্যরা। এতে অন্তত ১৩০০ ইসরাইলি প্রাণ হারায়, যার মধ্যে বহু বেসামরিক নাগরিক, নারী ও শিশু রয়েছে বলে দাবি ইসরাইলের।
জবাবে গাজায় ব্যাপক মাত্রায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। এতে ১৪০০ এর বেশি মানুষ মারা যায়, এখানে বহু বেসামরিক নাগরিক, নারী ও শিশু রয়েছে। গত ছয় দিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ চলছে।
এদিকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ ও জর্ডানে বিক্ষোভ হয়েছে। শিয়া নেতা মোক্তাদা আল সদরের আহ্বানে বাগদাদের তাহরির স্কয়ারে হাজার হাজার মানুষ হাজির হয়ে বিক্ষোভ করেন এবং ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেন।
একইভাবে ইসরাইল সীমান্তের দিকে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জর্ডানের শত শত নাগরিক। এর আগে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া শান্তি সম্ভব নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, গত শনিবার থেকে এ পর্যন্ত ১১ জন স্বাস্থ্যকর্মী গাজায় নিহত হয়েছেন।