ইমরানকে ‘হত্যাচেষ্টাকারীর’ ভিডিও ফাঁস, থানার সবাই বরখাস্ত

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে হত্যাচেষ্টায় দায় স্বীকার করা ব্যক্তির ভিডিও ফাঁস করে বিপাকে পড়েছে দেশটির পুলিশ প্রশাসন।

পুলিশ হেফাজতে থাকা ওই সন্দেহভাজনের স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য ফাঁস করায় পুলিশ স্টেশনটির সব কর্মীকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ এলাহি।

শুক্রবার এ খবর জানা গেছে দেশটির শীর্ষস্থানীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।

পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে লং মার্চের সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় এক সন্দেহভাজনকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
এরপরই পুলিশের কাছে দেওয়া অভিযুক্ত ওই হামলাকারীর স্বীকারোক্তিমূলক একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে।

পাকিস্তানের নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে ওই থানার স্টেশন হাউস অফিসারসহ (এসএইচও) সব পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করেন পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ ইলাহী।

পাকিস্তান অবজারভার এক প্রতিবেদনে জানায়, ইমরান খানের ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্তদের ভিডিও ফাঁসের বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী পারভেজ এলাহি।

বরখাস্তের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট থানার সবার মোবাইল ফোনও জব্দ করে ফরেনসিক অডিট করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পত্রিকাটির তথ্যানুযায়ী, দায়িত্বজ্ঞানহীন পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পাঞ্জাবের ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এ ছাড়া বিশেষ এক ভিডিও বার্তায় পারভেজ এলাহি বলেছেন, হামলাকারী একক কোনো ব্যক্তি নয়, ঘটনাস্থলে দুজন হামলাকারী ছিল। আমরা জানতে চাই এই ঘটনার পেছনে কারা রয়েছে এবং কারা অভিযুক্তদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। হামলার জন্য অভিযুক্তরা কত টাকা পেয়েছেন এবং কোথা থেকে আনা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, মিডিয়ায় অভিযুক্তদের ভিডিও বিবৃতি ফাঁস করার অভিযোগে বরখাস্ত করা পুলিশ অফিসারদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তারা কার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন সরকার তা জানতে চায়।

পুলিশ হেফাজতে থাকা সন্দেহভাজন ওই হামলাকারীর পরিচয় দেশটির গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি।

এদিকে ফাঁস হওয়া ভিডিওতে ওই সন্দেহভাজক হামলাকারী জানান, এই হামলায় তিনি একাই জড়িত।

‘ইচ্ছা ছিল লাহোর দিয়ে যেদিন ইমরানের লং মার্চ যাবে, সেদিনই হামলা করব। তাকে খুন করার উদ্দেশ্য ছিল আমার।’

‘ইমরান খান লোকজনকে বিভ্রান্ত করছেন। আমি তাকে সহ্য করতে পারছিলাম না। যে কারণে তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম।’