পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের ক্ষোভে জ্বলছে পাকিস্তান। এমন বাস্তবতায় পুলিশের সঙ্গে পিটিআই কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে পেশোয়ারে চারজনসহ মোট পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়া, পাঞ্জাব, বেলুচিস্তান ও ইসলামাবাদে ইমরানের গ্রেপ্তারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে পুরো পাকিস্তান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনী নামিয়েছে দেশটির সরকার। তাছাড়া সিন্ধু প্রদেশে ১৪৪ ধারা জারি করেছে শেহবাজ শরীফের প্রশাসন।
সহিংসতার অভিযোগে সহস্রাধিক পিটিআই সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পেশোয়ারের লেডি রিডিং হাসপাতালের একজন মুখপাত্র জিও নিউজকে বলেন, ‘জরুরি সেবা কক্ষে চারজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ দেখা গেছে। বিক্ষোভে আহত হয়ে আরও ২৭ জন হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন।’
মঙ্গলবার ইমরান খান গ্রেপ্তারের পর রাতে সহিংসতায় একজন নিহত হয়। এর পর থেকে পিরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টুইটার, ইউটিউব, ফেসবুকসহ মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রেখেছে দেশটির সরকার।
পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল বলেন, ‘এটা কোনোভাবেই চলতে দেয়া যায় না। আইনের কাজ আইন করবে।’
‘এগুলো গণবিক্ষোভ নয়’ জানিয়ে তার অভিযোগ, পিটিআইয়ের নেতাকর্মীরাই দেশের পরিস্থিতি অশান্ত করতে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালাচ্ছে।
সরকার পক্ষের এমন মন্তব্যের পর পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কোরেশি সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘দেশের সাধারণ নাগরিকদের স্বতস্ফূর্ত বিক্ষোভ দমন করতে সেনাবাহিনীর ব্যবহার কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। গতকাল পর্যন্তও সেনাবাহিনী ব্যস্ত ছিল। সে কারণে নির্বাচনে সেনাবাহিনী নামানো হয়নি। এখন পাঞ্জাবে ও খাইবার পাখতুনখোয়ায় কেন সেনা মোতায়েন করা হলো তা সহজেই অনুমান করা যায়। দেশের মানুষ বোকা নয়।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ইমরান খানকে ইসলামাবাদে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার করে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিন। বুধবার তাকে ১৪ দিনের রিমান্ডে আবেদন জানানো হয়। আদালত তাকে ৮ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে।