ইভটিজিং প্রতিরোধ দিবস আজ

ইভটিজিং শব্দটা যতো সহজভাষায় বলা যায় তবে বিষয়টা এত সহজ না। নারীর স্বাভাবিক জীবনযাপনে একটি বড় বাধা। স্কুল-কলেজে যাওয়ার পথে কিংবা কর্মক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত নানাভাবে নারীরা উত্যক্তকারীদের শিকার হচ্ছে।

সাধারণত কোনো নারী বা কিশোরীকে তার স্বাভাবিক চলাফেরা বা কাজকর্ম করা অবস্থায় অশালীন মন্তব্য করা, ভয় দেখানো, কোনো কিছু ছুড়ে দেওয়া, ব্যক্তিত্বতে লাগে এমন মন্তব্য করা, যোগ্যতা নিয়ে টিটকারী করা, তাকে নিয়ে অহেতুক হাস্যরসের উদ্রেক করা, রাস্তায় হাঁটতে বাধা দেওয়া, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করা, ইঙ্গিতপূর্ণ ইশারা দেওয়া, প্রেমে সাড়া না দিলে হুমকি প্রদান ইত্যাদি ইভটিজিংয়ের মধ্যে পড়ে।

খুঁজলে হয়তো এমন পুরুষ পাওয়া যেতে পারে, যারা কখনোই কোনো নারীকে উত্যক্ত করেনি৷ তবে কোনোদিন ইভ টিজিংয়ের শিকার হননি, এমনি নারী পাওয়া দুঃসাধ্য৷

আর তাই নারী, মেয়েশিশু, কিশোরী এবং তরুণীদের উত্ত্যক্ত করা থেকে রক্ষায় বখাটেদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিবছর ১৩ জুন ইভটিজিং প্রতিরোধ দিবস পালন করা হয়।

ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরিতে যৌন নিপীড়নের মতো ভয়াবহ ব্যাধি থেকে নারীসমাজকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৩ জুনকে ইভটিজিং প্রতিরোধ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে এবং ২০১০ সাল থেকে নিজস্ব কার্যক্রম নিয়ে জাতীয়ভাবে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

দেশে বিভিন্ন সময় রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রেও উত্ত্যক্তের শিকার হতে হচ্ছে মেয়েদের। এ কারণে অনেক মেয়ের ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ হচ্ছে। অনেকে আত্মহত্যার পথ পর্যন্ত বেছে নিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর নির্ভর করে বখাটদের দমন করা যাবে না। ইভটিজিং প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।

ইভটিজিংয়ের শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ডায়াল করলে পুলিশি সহায়তা পাবেন। আপনার আশপাশের র‌্যাব ব্যাটালিয়নে জানাতে পারেন। উপজেলা পার্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিতভাবে এবং সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত বা মৌখিকভাবে অভিযোগ দাখিল করতে পারেন। জেলাপর্যায়ে বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করতে পারেন। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকেও জানাতে পারেন। Report 2 RAB GB Apps এ জানাতে পারেন।