ইভটিজিংয়ে বাধা দেওয়ায় তরুণকে ছুরিকাঘাত

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নে স্কুলগামী ছাত্রীদের ইভটিজিংয়ে বাধা দেওয়ায় এক তরুণকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার (১২ জুন) বেলা ১১টার দিকে হলোখানা ইউনিয়নের সুভারকুটি গ্রামের সাজেনার মোড় ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণের বাবা বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ছুরিকাঘাতে আহত তরুণের নাম জামিল হোসেন (১৮)। তিনি সুভারকুটি গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রোববার বেলা ১১টার দিকে সুভারকুটি গ্রামের সাজেনার মোড় ব্রিজের কাছে ওই গ্রামের অহিদুল ইসলাম (২০), জাহিদ হাসান (২১) ও আনিছুর রহমানসহ (২০) ৪-৫ জন যুবক স্কুলগামী কয়েকজন মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় একই গ্রামের জামিল হোসেন, তার বন্ধু সবুজ মিয়া (১৮) ও আশিক মিয়া (১৮) মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করেন। এতে অহিদুল ও তার সঙ্গীরা ক্ষিপ্ত হয়ে জামিল ও তার বন্ধুদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তাদের ওপর চড়াও হন।

জামিল এর প্রতিবাদ করলে অহিদুল ও তার সঙ্গীরা তাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে অহিদুলের সঙ্গী জাহিদ হাসান জামিলকে পেছন থেকে জাপটে ধরলে অহিদুল তার পকেটে থাকা ছুরি বের করে জামিলের পেটে আঘাত করেন। এতে জামিলের পেটের বাম দিকে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। ঘটনার আকস্মিকতায় জামিলের বন্ধুরা চিৎকার করে লোকজন ডাকলে অভিযুক্ত যুবকরা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা এসে জামিলকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় আহত জামিলের বাবা আব্দুস ছাত্তার বাদী হয়ে অহিদুলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ছুরিকাঘাতে আহত জামিল বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জামিলের বাবা আব্দুস ছাত্তার বলেন, ‘অহিদুল ও তার সঙ্গে থাকা ছেলেরা এলাকায় মাদক সেবন করে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করাসহ নানা অপকর্ম করে। তারা আমার ছেলেকে হত্যা করতে চেয়েছে। আমার ছেলে কোনোরকমে প্রাণে বেঁচে গেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’

এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত অহিদুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে অহিদুল ও তার সঙ্গীরা পলাতক।

এ বিষয়ে সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার বলেন, ‘একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’