বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক প্রণীত অভিন্ন নীতিমালা বাতিলের দাবিতে এবং বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন (বাআবিকফ) এর দেওয়া ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মানববন্ধন করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা।
বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে পৃথক দুটি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃত্বে মানববন্ধন দুটি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. সাহাজাহান সিরাজের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল মিয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সমাজসেবা সম্পাদক মো. ফয়সাল খান, কার্যকরী সদস্য আব্দুর রউফ প্রমুখ।
অন্যদিকে কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. রমজান আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মো. ছাদেক আহমদ, সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন বুকশান, শাবি কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ অহিদুর রহমান, সাধারণ সদস্য আফজল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, এনামুল হক প্রমুখ।
কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. সাহাজাহান সিরাজ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সেক্টরে কর্মচারীরা যোগ্যতা ও মেধার মাধ্যমে চাকরি পাচ্ছেন। পরবর্তীতে অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার আলোকে তাদের পদোন্নতি হয়ে আসছে। বর্তমান বেতন কাঠানো অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা তাদের সংসার চালাতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছেন। এর ওপর তাদের পদোন্নতি কমিয়ে দিলে তারা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকাই অনেক বেশি কষ্টকর হয়ে যাবে, যা আমাদের জীবনের জন্য এক হুমকিস্বরূপ। আমরা ইউজিসির এ অভিন্ন নীতিমালা চাই না। এ নীতিমালা দ্রুত বাতিলের দাবি জানাচ্ছি আমরা। অন্যথায় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মো. ছাদেক আহমদ বলেন, ‘ইউজিসি যে নীতিমালা করেছে সেটি দেখে আমরা হতবাক হয়েছি। এ নীতিমালা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে না পাঠানোর জন্য ইউজিসিকে আমরা অনুরোধ করেছি। কারণ এ নীতিমালায় কর্মচারীদের কোনো স্বার্থের উল্লেখ নেই। আমরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোনো আন্দোলন করতে চাই না। তবে ইউজিসির প্রণীত নীতিমালা বাতিল ও কর্মচারী ফেডারেশনের দেওয়া ১১ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না করলে কঠোর আন্দোলন শুরু হবে।’
এ সময় কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য যে নীতিমালা প্রণয়ন করেছে তা কর্মচারীদের জন্য আশীর্বাদের পরিবর্তে অভিশাপে পরিণত হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের ওপর অবিচার করা হবে। তাই এ নীতিমালা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন কর্তৃক দেওয়া ১১ দফা বাস্তবায়নেরও দাবি জানাচ্ছি।’