ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এক দিনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে ট্যাংক দেয়ার ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। খবর এএফপি ও আল জাজিরার।
ইউক্রেনের জরুরি বিভাগ বলছে, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আরও ১১ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরোর আঘাতে ৫৫ বছর বয়সী একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ধ্বংস করেছিল।
বৃহস্পতিবার কিয়েভ, বাখমুতসহ বিভিন্ন শহরে রাশিয়া মোট ৫৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। এর মধ্য ৪৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার দাবি করেছে তারা। ওদেসায় বিদ্যুৎ অবকাঠামোর ওপরও হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনের সেনারা দাবি করেন, গতকাল রাতে রুশ সেনাদের চালানো ড্রোন হামলার সময় ২৪টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে কিয়েভ ও এর আশপাশের এলাকায়। তবে এসব হামলার তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে অত্যাধুনিক ট্যাংক চেয়ে আসছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কয়েক সপ্তাহের জল্পনা–কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত বুধবার জার্মানি জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনকে ১৪টি লেপার্ড-২ ট্যাংক দেবে। একই দিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে ৩১টি আব্রামস ট্যাংক দেবে বলেও জানিয়েছে। এর পরপরই ইউক্রেনজুড়ে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া।