ইউক্রেনকে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের মানবিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সৌদি আরব। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক ফোনালাপে এমন প্রতিশ্রুতি দেন সৌদি আরবের ডি ফ্যাক্টো শাসক ও দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস)। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই সহায়তার পরিমাণ দাঁড়ায় চার হাজার ৮৫ কোটি ৮৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
ওপেক প্লাস জোটের তেল উৎপাদন কমিয়ে আনার ঘটনায় সৌদি আরবকে পরিণতি ভোগ করতে হবে; মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন হুঁশিয়ারির দুই দিনের মাথায় কিয়েভকে এই সহায়তার ঘোষণা দিলো রিয়াদ।
ফোনালাপে যুবরাজ বলেন, তার দেশ ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার বিদ্যমান উত্তেজনার প্রশমন দেখতে চায়। দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতার উদ্যোগ নেওয়ার ব্যাপারেও রিয়াদের আগ্রহের কথা জানান মোহাম্মদ বিন সালমান।
গত ৫ অক্টোবর তেল উৎপাদন কমানোর বিষয়ে একমত হয় সৌদি আরব ও রাশিয়াসহ ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমাবে এই জোটের সদস্য দেশগুলো। এই ঘোষণার পরই বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। এরইমধ্যে দাম বেড়েছে ১০ শতাংশেরও বেশি। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বন্ধের জোরালো দাবি উঠে।
মার্কিন সিনেটের ফরেন রিলেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান বব মেনেন্দেজ বলেছেন, তেলের উৎপাদন কমিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে পরোক্ষভাবে রাশিয়াকে সহায়তা করছে রিয়াদ। তিনি বলেন, ‘সৌদি সরকার ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে তার অবস্থান পুনর্মূল্যায়ন না করা পর্যন্ত আমি রিয়াদের সঙ্গে কোনও সহযোগিতার বিষয়ে সবুজ সংকেত দেবো না। যথেষ্ট হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্তের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকার কথা অস্বীকার করেছে সৌদি আরব। দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের সিএনএনকে বলেছেন, তার দেশ রাশিয়ার পক্ষ নেয়নি, বরং তেলের বাজারে স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে পদক্ষেপ নিয়েছে।