বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন শুরু হয়েছে। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দলটির নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলার মধ্যে রাখতে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া উদ্যানের প্রবেশপথগুলোতে দেখা যায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার চিত্র। প্রতিটি গেটেই রয়েছে আর্চওয়ে এবং পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি সাদা পোশাকে রয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। কয়েক ধাপের তল্লাশি শেষে নেতাকর্মীদের উদ্যানের ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমরা সব নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। কোনো ধরনের হুমকির তথ্য না থাকলেও সবকিছু বিবেচনা করেই আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। সাঁজোয়া যান (এপিসি) থেকে শুরু করে সব নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্মেলনস্থলের আশপাশে রাখা হয়েছে।
ছোট ছোট মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও কালীমন্দির গেট দিয়ে প্রবেশ করছেন কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা। সকাল ৭টা থেকে তাদের জন্য সম্মেলনের পাঁচটি গেট খুলে দেওয়া হয়।
আধা ঘণ্টা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর শোকপ্রস্তাব উত্থাপন করবেন দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ওবায়দুল কাদের। পাশাপাশি স্বাগত বক্তব্য দেবেন অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হবে।