ভারী বর্ষণে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ের বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। দুই রাজ্যে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ জনে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩০ লাখে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে আসাম-মেঘালয়ের নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। লোকালয়ে পানি ঢুকে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। অনেকের ঘরে কোমর সমান পানি। উপায় না পেয়ে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটছেন বানভাসী মানুষ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর সাহয়তা চাওয়া হয়েছে।
মৃতদের মধ্যে আসামের ২৪ এবং মেঘালয়ের ১৮ জন। রাজ্যের ৪ হাজারের বেশি গ্রাম প্লাবিত। দেড় লাখের বেশি মানুষকে ৫১৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে আসামের অনেক সেতু ও সড়ক।
এদিকে ত্রিপুরায় গত শুক্রবার থেকে অব্যাহত অতিবর্ষণ। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এখনও কোনও মৃত্যুর খবর না পাওয়া গেলেও গৃহহীন হয়েছেন ১০ হাজার মানুষ।
দেশটির সরকারের সূত্র জানিয়েছে, গত ৬০ বছরের মধ্যে আগারতলায় তৃতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় বিপাকে বহু মানুষ। আকস্মিক বন্যার কারণে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
এদিকে মেঘালয়ের মাওসিনরাম ও চেরাপুঞ্জিতেও ১৯৪০ সালের পর এবার সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এবারের বন্যায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের প্রত্যেক পরিবারকে ৪ লাখ রূপি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা।
সূত্র: এনডিটিভি।