সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে লোহার পাইপ পড়ে সেনা সদস্য নিহতের ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।
রোববার (৪ জুন) দুপুরে সিসিকের গণসংযোগ বিভাগ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে পূর্বে গঠিত কমিটিকে অনিবার্য কারণে বাতিল করে পুনর্গঠিত তদন্ত কমিটিতে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বদরুল হককে আহ্বায়ক করে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
পুনর্গঠিত তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সিসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) মো. মতিউর রহমান খান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট-এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. জয়নাল ইসলাম চৌধুরী, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল হাকিম, গণপূর্ত অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিপন কুমার রায়, সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রুহুল আলম ও সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) রাজি উদ্দিন খান।
এর আগে গতকাল সিসিকের নির্মাণাধীন বহুতল ভবন থেকে লোহার পাইপ পড়ে সেনা সদস্য নিহতের ঘটনার পরপরই মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
এ কমিটির সদস্য হিসেবে ছিলেন, গণপূর্ত বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিপন কুমার রায়, সিসিকের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর, শিক্ষা ও প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল হাকিম, সিসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান খান, সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রুহুল আলম ও সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী রাজি উদ্দিন খান।
তবে রাতে প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আজ রোববার তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করেন মেয়র। কমিটি থেকে প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবরকে বাদ দেওয়া হয় এবং তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
প্রসঙ্গত,গতকাল শনিবার দুপুরে বন্দরবাজার এলাকার সিটি সুপার মার্কেটের নিচতলা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় নগর ভবনের ছাদ থেকে লোহার পাইপ পড়ে মো. দেলোয়ার হোসেন নামের এক সেনাসদস্য আহত হন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় শনিবার রাতেই সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সিলেট কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলায় নির্মাণকাজে অবহেলাজনিত অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে মামলায় সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবরসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে।