আশ্রয়ণের ঘর পেল জুড়ীর আরও ১১৭ পরিবার

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ৪র্থ পর্যায়ে স্বপ্নের সেমিপাকা ঘর পেল আরও ১১৭ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।

বুধবার (২২ মার্চ) উপকারভোগী পরিবারগুলোর নিকট গৃহসমূহের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর কার্যক্রমের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর উপজেলা প্রশাসন ১১৭টি ঘরের জমির দলিল ও গৃহের চাবি হস্তান্তর করে।

সর্বশেষ হালনাগাদকৃত ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৪৭৩টি। এর আগে ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে মোট ২৮১টি গৃহহীন পরিবারকে পাকা ঘর ও ভূমির কাগজ প্রদান করা হয়েছে। আজ প্রকল্পের ৪র্থ পর্যায়ে নির্মিত ১৯২টির মধ্যে ১১৭টি উপকারভোগী পরিবারকে জমির দলিল ও চাবি হস্তান্তর করা হলো।

জুড়ী উপজেলায় ঘরের জমির দলিল ও গৃহের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রঞ্জন চন্দ্র দে’র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রতন কুমার অধিকারী, ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, নারী ভাইস চেয়ারম্যান রঞ্জিতা শর্মা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সমরজিৎ সিংহ, থানার ওসি মো. মোশাররফ হোসেন, প্রকল্প কর্মকর্তা মো. মনসুর আলী, পূর্ব জুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রুয়েল উদ্দিন, গোয়ালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম সেলু, জায়ফরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির দারা, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা তপন চন্দ্র সূত্রধর, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সুজাউদ্দৌলা, এলজিইডি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, শাহেদ রানা, নিরোধ বিহারী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তি দাস কাজল, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ম্যানেজার (ভারপ্রাপ্ত) মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

উপকারভোগী শতাধিক নারী-পুরুষ ঘরের চাবি পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হন। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।