শিশুদের জন্য শিক্ষামূলক প্রকল্প সিসিমপুর এর আওতায় হবিগঞ্জের মাধবপুরে ‘আমাদের বিদ্যালয়ে সিসিমপুর’ শীর্ষক লাইভ শো’র উদ্বোধন হয়েছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) ফুলকলি পৌর কে.জি স্কুল মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর উদ্বোধন করেন মাধবপুর পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান।
প্রকল্পের কর্ম এলাকায় টানা মাসব্যাপী এ আয়োজনের একাদশ দিনে সরাসরি প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে মূলতঃ মাধবপুর উপজেলা পর্ব শুরু হল। উদ্বোধনী দিনে পরপর দুটি প্রদর্শনীতে পার্শ্ববর্তী ১০টি বিদ্যালয় থেকে প্রায় ৩ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক অংশগ্রহণ করেন।
এদিন সকালে ও দুপুরে মাধবপুর উপজেলাস্থ ফুলকলি পৌর কিন্ডারগার্টেন মাঠে উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশ ও সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে শিশুদের জন্য সিসিমপুর কস্টিউমড কারেক্টার লাইভ শো’গুলি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবুল হোসেন, ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. মোবারক উল্লাহ, সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সৈয়দ মো. ফয়সল, মাধবপুর কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ফুলকলি পৌর কিন্ডারগার্টেন এর অধ্যক্ষ সাইফুল হক মির্জা ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান সুজন প্রমুখ।
আয়োজনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, আরডিআরএস বাংলাদেশ-সিসিমপুর প্রকল্প সমন্বয়কারী জিল্লুর রহমান জয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আরডিআরএস বাংলাদেশ সিসিমপুর প্রকল্পের ট্রেনিং এন্ড মনিটরিং অফিসার পার্থ সারথি চক্রবর্তী।
বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে পরপর দুটি শো’তে অংশগ্রহণ করে আশার আলো একাডেমি, মাধবপুর আইডিয়াল একাডেমি, ব্লু-বার্ড কিন্ডারগার্টেন, আদাঐর মডেল স্কুল, ফয়জুন্নেসা বিদ্যানিকেতন, আল-ফুরকান কিন্ডারগার্টেন, এলকেমি কিন্ডারগার্টেন, সুলতানপুর সুশীল সমাজ কিন্ডারগার্টেন, খান মডেল একাডেমি এবং ফুলকলি পৌর কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকগণ। এছাড়াও ভিন্নধর্মী এ আয়োজনে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় ছিল।
টেলিভিশনে প্রচারিত জনপ্রিয় শিশুতোষ অনুষ্ঠান সিসিমপুর এর এম্বেসেডর ক্যারেক্টার ইকরি, শিকু, হালুম ও টুকটুকিদের পারফরম্যান্স সরাসরি শিশুদের প্রদর্শন করতে স্থানীয় কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোতে মাসব্যাপী এ আয়োজন করেছে আরডিআরএস বাংলাদেশ।
দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি’র আর্থিক সহযোগিতায় এ কার্যক্রমের আওতায় হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের প্রকল্পভুক্ত ২৫০টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মোট ৫০টি প্রদর্শনী সম্পন্ন হবে। তারই ধারাবাহিকতায় মাধবপুরের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে টানা ১০টি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।