আমরা সবার জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করছি : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, গ্রাম পর্যায়ে মানুষের উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা সবার জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করছি।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগের যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। দুইদিনের সফরে শনিবার টুঙ্গিপাড়ায় যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও আমরা আমাদের দেশের মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সে পদক্ষেপ নিয়েছি। কোনো জমি অনাবাদি থাকবে না। সেজন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানাই।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী যেন আমরা নিজেরাই সব কিছু উৎপাদন করতে পারি, সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় আছে, মানুষের কষ্ট দূর করার জন্য যা যা করণীয় সেটা করে যাবে। আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় মানুষের পাশে আছে। বাংলার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যা যা করণীয় সেটা আমরা করব। শুধু সরকারই নয়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সবসময় মানুষের পাশে থাকে, আছে।

এ সফরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত মধুমতি নদীতে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল বোট ল্যান্ডিং র‍্যাম্প, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনসহ গোপালগঞ্জ, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাস্তবায়িত ২৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সন্ধ্যায় তিনি টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।

টুঙ্গিপাড়ায় উপস্থিত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জের ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ১টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত দু’টি ঘাটলা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, টুঙ্গিপাড়া বাস টার্মিনাল, পাটগাতি ভূমি অফিস, টুঙ্গিপাড়া পৌর মার্কেট, টুঙ্গিপাড়া বাস টার্মিনাল, জেলা প্রসাশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবন, সোনাখালির জোড়াসেতু, রাধাকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়, দারুছুন্নাহ সালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, মাঝবাড়ী ইউনিয়ন ভূমি অফিস, পাটগাতী ইউনিয়ন ভূমি অফিস, বাঁশবাড়িয়া ঝনঝনিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা, গোপালগঞ্জ সদরের স্বাধীনতা নামে জেলা পরিষদের ডাক বাংলো, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গার্ডার ব্রিজ উদ্বোধন। এছাড়াও শেখ লুৎফর রহমান গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৭টি প্রকল্প ও ১টি ভিত্তি প্রস্তরের মধ্যে ১৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। বাকি ৯টি প্রকল্প, শিক্ষা ও গণপূর্ত বিভাগ এবং টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা বাস্তবায়ন করেছে।

আগের দিন শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) শেখ হাসিনা জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে খুলনায় তার পারিবারিক সম্পত্তি দেখতে যান। এরপর তিনি আবার গোপালগঞ্জে ফিরে আসেন।