চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও আবাসন, শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে শ্রমিকদের প্রতিনিয়িত হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাগান কর্তৃপক্ষ সকল দাবি পূরণে সহযোগিতার কথা জানালেও শ্রমিকরা জানিয়েছেন ভিন্ন কথা। শ্রমিকদের দাবি, যে পরিমান রেশন, চিকিৎসা ও আবাসন দেয়া হয় তা তাদের প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এই খরচের অনেকটাই তাদের মজুরি থেকে মেটাতে হচ্ছে।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার দারাগাঁও চা-বাগানের শ্রমিকরা জানান, দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও শ্রমিকদের আবাসন সংকট, শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবায় হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
দারাগাঁও চা-বাগানে শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। এর মধ্যে স্থায়ী শ্রমিক ৭০০ এবং অস্থায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ৩০০ জন। শ্রমিকদের দাবি, স্থানীয় শ্রমিকদের মজুরি ১৭০ টাকা দেওয়া হলেও অস্থায়ী শ্রমিকদের মজুরি এখনও ৮০ টাকা রয়ে গেছে।
এই অল্প পরিমাণ মজুরি দিয়ে তাদের আবাসন সংকট, চিকিৎসা ব্যয় ও শিক্ষা ব্যয় মেটাতে প্রতিনিয়ম হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাগানে কোনো মেডিকেল অফিসার না থাকায় বাইরে থেকে তাদের চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করে তুলতে মজুরি থেকেই তাদের ব্যয় করতে হচ্ছে।
চুনারুঘাটের দারাগাঁও চা-বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি প্রেমলাল আহেরি বলেন, বাগান মালিকদের টালবাহানা রোগের তদন্ত করা প্রয়োজন।
তবে ওই চা-বাগানের জেনারেল ম্যানেজার ফরিদ উদ্দিন শাহীন জানান, শ্রমিকদের সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আমরা সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
হবিগঞ্জ জেলার ২৪টি চা-বাগানে প্রায় ৪১ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। বাগান কর্তৃপক্ষ তাদের সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন চা শ্রমিকরা।