স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) বলছে, ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানে বিশ্বব্যাপী যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে তা স্নায়ুযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো পারমাণবিক অস্ত্রের বৈশ্বিক মজুদ শিগগিরই আবারও বাড়তে পারে। এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সোমবার (১৩ জুন) প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসআইপিআরআই জানিয়েছে, ইউক্রেনে রুশ হামলা ও কিয়েভের প্রতি পশ্চিমা সমর্থন বিশ্বের ৯টি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ইউক্রেনে অভিযানের মধ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে হুমকিও দিয়ে রেখেছে রাশিয়া।
গত মার্চের শুরুতে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছিলেন, যদি একটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়, তাহলে এতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহৃত হবে। যা হবে ধ্বংসাত্মক।
এই পরিস্থিতিতে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট পরিচালক ড্যান স্মিথ বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং অপসারণের ক্ষেত্রে কিছু সফলতা এসেছিল, কিন্তু স্নায়ুযুদ্ধের পর পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি গত কয়েক দশকের মধ্যে এখন সবচেয়ে বেশি।
গত বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ১২ হাজার ৭০৫ পারমাণবিক ওয়ারহেডের মোট সংখ্যা সামান্য হ্রাস পেয়েছে। বিশ্বে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রায় ৯০ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কাছে রয়েছে।
রাশিয়ার কাছে কতটি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে?
পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা যা জানা গেছে তা প্রাক্কলন। তবে ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্ট-এর মতে, রাশিয়ার কাছে ৫ হাজার ৯৭৭টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে। এটিই পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটায়। এরমধ্যে রয়েছে প্রায় ১৫০০, যেগুলো কাজে লাগছে না এবং পরিত্যক্ত হওয়ার পথে।
৯টি দেশের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। চীন, ফ্রান্স, ভারত, ইসরায়েল, উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। পারমাণবিক অস্ত্র না বাড়ানোর এনপিটি চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ১৯১টি দেশের তালিকায় রয়েছে চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।