আবারও শুভ্রতায় মেতেছে গোলাপগঞ্জের পুড়ানো সেই কাশবন

প্রকৃতিতে যখন শরৎকাল আসে তখন শরৎ এর আগমনী বার্তা জানিয়ে দেয় ‘কাশফুল’। কাশফুলের শুভ্রতাই আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় শরৎ এসেছে। এ সময় দিগন্তজোড়া প্রান্তরে কাশফুলের মনোরম দৃশ্য চোখে পড়ে।

শরৎকাল মানেই শুভ্রতার ঋতু। শরৎ মানেই নদীর তীরে, বালুচরে, গ্রামের উঁচু কোন জায়গায় কাশফুলের সাদা হাসি। তাইতো সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় গত বছর ভাইরাল হওয়া কাশবনে আবারও ফুটেছে কাশফুল। আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে এই কাশবন ‘অশ্লীলতার অভিযোগ’ এনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি দেশের গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের গোলাপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌঘরী গ্রামের ওয়াসিমা কমিউনিটি সেন্টারের পাশে ব্যক্তি মালিকানাধীন বালুতে ফুটেছে কাশফুল। কাশফুল ফুটার খবর ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে গোলাপগঞ্জ উপজেলাসহ আশপাশের উপজেলায়। তাইতো গত কয়েকদিন থেকে কাশফুলের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে গোলাপগঞ্জ উপজেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্ধু-বান্ধব, পরিবার পরিজন নিয়ে মানুষ আসছেন। কেউবা নিজস্ব গাড়ি, কেউ বা ভাড়ায় গাড়িতে চড়ে আসছেন এ কাশবনের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে।

শনিবার (১ অক্টোবর) ছুটির দিন থাকায় দর্শনার্থীদের ঢল নামে এ কাশবনে।

সরেজমিন গেলে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ বালুর মাঠ জুড়ে ফুটেছে সাদা কাশফুল। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসেছেন। নিজ নিজ মুঠোফোনে সেলফি তুলতে ব্যস্ত সবাই। একজন আরেকজনের ছবি তুলছেন। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও একটু প্রশান্তির খোঁজেম মন খুলে কাশবনের সৌন্দর্য্য উপভোগ করছেন দর্শনার্থীরা।

এদিকে দর্শনার্থীদের ভিতরে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এবারো কি কাশবন পুড়িয়ে দেওয়া হবে? কাশবনের সৌন্দর্য্য যাতে মানুষ উপভোগ করতে পারে এজন্য দর্শনার্থীরা প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন। যতদিন কাশফুল থাকবে ততদিন, দর্শনার্থীরা যেন কাশফুলের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারে।

রাসেল আহমদ নামে একজন বলেন- ‘প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও কাশফুল দেখতে এসেছি। নতুন নতুন জায়গায় ঘুরতে পছন্দ করি। যখন শুনেছি এখানে কাশফুল ফুটেছে তখনি বন্ধুদের নিয়ে ছুটে এসেছি।’

লায়েক আহমদ নামের এক যুবক বলেন- ‘গত বছর অশ্লীলতার অভিযোগ এনে কাশবন পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ বছর যাতে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এবং মানুষ কাশফুলের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারে এজন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’