আবারও তীব্র গরমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেললাইন বাঁকা হয়েছে গেছে। আপাতত বাঁকা হয়ে যাওয়া লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের দাড়িয়াপুর এলাকায় রেললাইনটি আবার বাঁকা হওয়ার খবর পান ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা একটার দিকে তীব্র গরমে একই স্থানের রেললাইন বাঁকা হয়ে মালবাহী ট্রেনের সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে একটি লাইনে আপ-ডাউন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। দীর্ঘ ৩০ ঘণ্টা চেষ্টায় শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৭টায় লাইনচ্যুত হওয়া বগিগুলো উদ্ধার করে মেরামতের পর ঢাকাগামী লাইনটি দিয়ে ট্রেন চলাচল করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকাল পৌনে ১০টায়ও এই লাইন দিয়ে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকায় গিয়েছে। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খবর পেয়েছি, তীব্র গরমে সেই লাইনটি ফের বাঁকা হয়ে গেছে। আপাতত বাঁকা হয়ে যাওয়া লাইন দিয়ে ঢাকাগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে এক লাইনেই আপ-ডাউন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
গত বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনার দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ শনিবার তা রেকর্ড করা হয় ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও যেখানে রেললাইন অবস্থিত, সেখানে তাপমাত্রা বেশি অনুভূত হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চলতি এপ্রিলের শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাপপ্রবাহ চলছে। এতে রেললাইন বেঁকে যেতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এজন্য সতর্কতাও জারি করে রেলওয়ে। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রুটে রেলপথের বিভিন্ন অংশে গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচল করতে বলা হয়।
অতিরিক্ত গরমের কারণে এই রেলপথের বিভিন্ন অংশে সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার গতিতে সবগুলো আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেন চালাতে লোকো মাস্টারদের নির্দেশনা দেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মালবাহী ট্রেনগুলোকে ৩০ কিলোমিটার গতিতে চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।