এক কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাংকগুলোতে ডলারের দাম আরও এক দফায় ২৫ পয়সা বেড়েছে। ফলে এখন থেকে আমদানির জন্য প্রতি ডলার ব্যাংকগুলো বিক্রি করছে ৯৪ টাকা ৭৫ পয়ংসা দরে।
আন্ত:ব্যাংকে প্রতি ডলারের দামও ২৫ পয়সা বেড়ে এখন ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা হয়েছে। এখন আমদানির ক্ষেত্রে ডলারের দাম ও আন্ত:ব্যাংক দামের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে ৫ পয়সা। ডলারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রারও দাম বেড়েছে। ফলে ওই হারে টাকার মান কমেছে।
সূত্র জানায়, এর আগে গত বৃহস্পতিবার ডলারের দাম বেড়েছিল। তখন প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছিল ৯৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে। ওই সময়ে আন্ত:ব্যাংকে ছিল ৯৪ টাকা ৪৫ পয়সা।
এই দফা ডলারের দাম বাড়ানোর ফলে এখন ব্যাংকগুলো রপ্তানি বিল কিনছে ৯৩ টাকা ৭৫ থেকে ৯০ পয়সা দরে। রেমিটেন্স কিনছে ৯৩ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৯০ পয়সা দরে। এ খাতে ডলারের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্যেও ব্যবধান গড়ে এক টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারে তদারকি জোরদার করার মাধ্যমে ডলারের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্যের ব্যবধান কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। ফলে রপ্তানিকারকদের ডলারের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্যের ব্যবধান নিয়ে যে ক্ষোভ ছিল তা আপাতত প্রশমিত হবে। তবে বাজারে ডলারের চাহিদা অনেক বেশি বেড়ে যাচ্ছে।
বিশেষ করে করোনার সময়ে স্থগিত এলসি ও বৈদেশিক ঋণের কিস্তি এখন পরিশোধ করতে হচ্ছে। যে কারণে ডলারের চাহিদা বেশি। কিন্তু সরবরাহ কম হওয়ায় এর দাম বাড়াছে।
ব্যাংকগুলোতে নগদ ডলারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। নগদ ডলার ব্যাংক সর্বোচ্চ ১০১ টাকা করে বিক্রি করছে। কোন কোন ব্যাংক ১০০ টাকা করে নগদ ডলার কিনছে।
এদিকে খোলা বাজারেও ডলারের দাম বেড়েই চলেছে। তবে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার হস্তক্ষেপে এর দাম আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। সোমবারও প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১০৩ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৭০ পয়সা দরে। কোন কোন ক্ষেত্রে আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।