ঘরের মাঠেই এক ম্যাচ বাকি থাকতে আফগানিস্তানের কাছে ২-০ তে সিরিজ হারলো বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বোলারদের বাজে বোলিংয়ের পরে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৪২ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ হারে লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দল। একমাত্র মুশফিক ছাড়া বড় স্কোর করতে পারেননি কেউ।
শনিবার (৮ জুলাই) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথমেই টস জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠান লিটন দাস। তবে লিটনের সিদ্ধান্ত যে আফগানদের পক্ষেই গেছে সেটা বোঝা যায় দুই আফগান ওপেনারের ব্যাটিংয়ে। দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের জোড়া সেঞ্চুরিতে টাইগারদের সামনে ৩৩২ রানের বিশাল টার্গেট দেয় আফগানিস্তান। যা অতিক্রম করে জয় পেতে হলে রেকর্ডই ভাঙতে হতো বাংলাদেশকে। ওয়ানডে ক্রিকেটে এর আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডটি ৩২২ রান।
আফগানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ বাঁচানোর লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথমেই ধাক্কা খায় লাল সবুজের দল। বাজে বোলিং-ফিল্ডিংয়ের কারণে আফাগান ব্যাটাররা ৯ উইকেটে ৩৩১ রানের পাহাড় গড়ে। ৩৩২ রানের বিশাল টার্গেট তাড়ায় ২৫ রানেই প্রথম ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ৫০ বলে ৪০ রানের জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান। দলীয় ৬৫ আর ব্যক্তিগত ১৬ রানের মাথায় আউট হন তাওহীদ হৃদয়। এরপর আরেকবার খেই হারায় বাংলাদেশ দল। একপ্রান্তে মুশফিককে রেখে মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে ফেরেন সাকিব আল হাসান ও আফিফ হোসেন।
৭২ রানে ৬ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদি হাসান মিরাজ। এই জুটি স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৮৭ রান। ১০৮ বলে ৮৭ রানের জুটি গড়ার পর মুজিবুর রহমানকে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সীমানার কাছে ধরা পরেন মিরাজ। তার আগে ৪৮ বলে দুটি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৫ রান করেন তিনি। মিরাজের পর স্কোরবোর্ডে আরও ১০ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফেরেন হাসান মাহমুদ। এরপর নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হন মুশফিক।আফগানিস্তানের বিপক্ষে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের ম্যাচে একাই লড়লেন মুশফিকুর রহিম। তবে যোগ্য সঙ্গীর অভাবে জয়ের ধারে কাছেও যেতে পারেন নি। আউট হবার আগে ওয়ানডে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ২৫০তম ম্যাচে ৪৫ তম ফিফটি তুলে নিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। ৮৫ বলে ছয় বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৯ রান করেন তিনি।
আফগানিস্তানের পক্ষে ফজল হক ফারুকী ও মুজিবুর রহমান ৩ টি করে উইকেট নেন।