বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা শেষে দাবি মানার আশ্বাস পেয়ে গতকাল (২৯ অক্টোবর) আন্দোলন স্থগিত করেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) শিক্ষার্থীরা। এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের আট দফা দাবির মধ্যে সাতটি ছিল অ্যাকাডেমিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে। আর বাকি একটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রক্টর ও জনসংযোগ কর্মকর্তার পদত্যাগ। দাবিগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন স্থগিত করেছেন বলে জানান তারা।
এদিকে আজ (৩০ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিন আহাম্মদ এবং ছাত্র পরামর্শক প্রফেসর ড. মো: এমদাদুল হকের সাথে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়। যেখানে শিক্ষার্থীরা আগামি ৩ দিনের মধ্যে তাদের দাবিগুলোর সুস্পষ্ট পদক্ষেপ, লিখিত স্টেটমেন্ট বা এসকল বিষয় বাস্তবায়নের রুপরেখা না দিলে ক্লাস পরীক্ষায় না ফেরার হুশিয়ারি দেন।
এবিষয়ে ‘মাহবুব হাসান সৈকত নামে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারোটায় ‘সিলেট ভয়েসকে’ বলেন নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ও ছাত্র পরামর্শকদের সাথে আমাদের ৩০ জনের একটা প্রতিনিধি দলের প্রায় দুই ঘন্টার একটি আলোচনা হয়েছে । যেখানে আমরা আগামী শনিবারের মধ্যে দাবিগুলো প্রজ্ঞাপন আকারে দেওয়ার কথা বলেছি। নয়তো আমরা ক্লাস-পরিক্ষায় ফিরবো না’ ।
সৈকত জানান,আলোচনায়, ১. কয়েকটি বিষয়ে রি ক্যারির ভিত্তিতে ইয়ার ড্রপ সিস্টেম বাতিল, কমপক্ষে ২ জন শিক্ষক দ্বারা উত্তরপত্র মুল্যায়ন, ক্যারি পরীক্ষায় মিডটার্মের অন্তর্ভুক্তি, অ্যানোনিমাস মার্কিং ২.ক্যাম্পাসের যেকোনো ধরণের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রণয়ন ৩. এ আন্দোলনে জড়িত কোনো শিক্ষার্থীকে একাডেমিকালি বা ক্যাম্পাসের বাইরে হেনস্তা করা যাবে না ।এই ৩ টা বিষয় বিস্তারিত যুক্তি সহকারে বর্ণনা করা হয় । স্যাররাও আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ আবেদন করবেন বলে আশ্বাস দেন ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিন আহাম্মদ এবং ছাত্র পরামর্শক প্রফেসর ড. মো: এমদাদুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাদেরকে পাওয়া যায় নি।