চা-বাগানের উদ্ভুত পরিস্থিতি সমাধানে চা-শ্রমিক নেতাদের আগামী ২৩ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে শ্রম অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে শ্রম অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয়ে চা-শ্রমিক নেতাদের সাথে বৈঠকে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী এনডিসি এ আহ্বান জানান।
তবে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় চা-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ শ্রম অধিদপ্তরের এ আহ্বানে সাড়া দেননি। এ সময় উপস্থিত শ্রমিকরাও বিক্ষোভ শুরু করেন।
এমন বাস্তবতায় সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য ১ ঘন্টা সময় দিয়ে প্রাথমিকভাবে বৈঠক শেষ করেন শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি পংকজ কন্দ জানান, আগামী ২৩ আগস্ট মন্ত্রণালয়ে চা শ্রমিক ও মালিকদের নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে। তার আগ পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিতের প্রস্তাব দিয়েছে শ্রম অধিদপ্তর। এ প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে তারা নিজেদের মধ্যে তারা বৈঠকে বসেছেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত পরে তারা শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে জানাবেন।
এদিকে চা শ্রমিকদের সাথে বৈঠকের পর বাগান মালিকদের নিয়ে যে বৈঠকের কথা ছিল তা আর হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
গত মঙ্গলবার থেকে চা–বাগানের শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে ৪ দিন দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালনের পর গত শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন চা-শ্রমিকেরা। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে চা শ্রমিকদের সাথে বৈঠকে বসেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী এনডিসি। এতে বাংলাদেশ চা–শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নিপেন পালসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।