সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ জুন) নগরীর নরসিংটিলা এলাকার বাসিন্দা এ কে এম আবু হুরায়রা সাজুর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি (রিট পিটিশন নং: ৮১৮১/২০২৩) দায়ের করেন। রিটে নির্বাচন কমিশন, আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মিথ্যা দেওয়ার অভিযোগ এনে সিলেট সিটি নির্বাচনের আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর মনোনয়ন পত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর কুমিল্লা বোর্ডের এসএসসির সনদে জন্ম তারিখের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা জন্ম তারিখের কোনো মিল নেই।
তবে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে কোন ভুল তথ্য দেননি জানিয়ে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদ আমার কাছে রয়েছে।
এছাড়া তিনি তার শিক্ষাগত যোগ্যতার জায়গায় লিখেছেন বিএ অনার্স ব্যবসা। আসলে বিএ অনার্স ব্যবসা বলে কোন ডিগ্রী নেই। এসব বিষয় উল্লেখ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (২১ জুন) সকালে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টে বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ আরও বলেন, যদিও বুধবার (২১ জুন) সিলেট সিটি করপোরেশনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। রিট আবেদনে আমরা ভোট স্থগিত চাইনি। আমরা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করেছি। ২১ জুন সিলেট সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে আমাদের কোন আপত্তি নেই।
রিট আবেদনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামানকে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বৈধ প্রার্থী ঘোষণাকে কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ১৯ জুন এ বিষয়ে ইমেইলে প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। সে নোটিশের বিষয়ে কোন সাড়া না পেয়ে আজ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয় বলে জানান রিটকারীর আইনজীবী।